সত্যবার্তা ডেস্ক :
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকনুজ্জামান। কয়েকজন মিলে পরিচালনা করছেন একটি এনজিও। ওই এনজিও থেকে দেয়া হয় ঋণ। নেয়া হয় কিস্তি। স্থানীয় এক দোকানীর কিস্তি দেয়া-নেয়ার সময় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে তাকে মারপিটে রক্তাক্ত করা হয়। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে গ্রেপ্তার হন ওই ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার দুপুরের কিছু আগে তাকে কোর্টে চালান দেয় পুলিশ। সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ এবং মামলার আইও এসআই আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আইও এসআই আফজাল হোসেন অভিযোগ সূত্রে জানান,প্রায় ৩ মাস আগে ওই এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা এলাকার মুদিসংলগ্ন চা দোকানি আব্দুস সাত্তার। ইতোমধ্যে তিনি ১৪০ টাকা হিসাবে ৯২ কিস্তি দিয়েছেন। তবে ঋণ নেয়ার সময় এমন আলোচনা ছিল,দিনের বেচা-কেনা শেষে রাত ৯-১০ টার সময় ওই কিস্তি দেয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কিস্তি দিতে চাপ দেয় ওই দায়িত্বে থাকা শিমুল। ওই ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।এরপর শিমুল চলে যায়।কিছু সময় পরে রোকোনুজ্জামানের বাবাকে ডেকে কিস্তি পরিশোধ করে সাত্তার। ওই ঘটনায় রোকনুজ্জামান যেন কোনো ঝামেলায় না জড়ায় সেই অনুরোধও রোকনের বাবার কাছে করেন দোকানীসহ স্থানীয় কয়েকজন। কিন্তু, রাত ৯টার দিকে রোকন,শিমুলসহ কয়েকজন ওই দোকানে গিয়ে চড়াও হয়। ঘটনাটি তার বাবাকে জানানো নিয়ে উত্তেজিত হয়। এক পর্যায়ে ওই দোকানীকে কিল-ঘুষি মারতে থাকলে একজনের হাতের মুঠোয় থাকা মোটরসাইকেলের চাবী লেগে দোকানীর মাথা রক্তাক্ত হয়।
ওই ঘটনায় দোকানীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ এবিষয়ে সাত্তারের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে রোকন ও শিমুলের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতে শহরের মীরপাড়া এলাকা থেকে রোকোনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরের আগে তাকে কোর্টে চালান দেয় পুলিশ। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শাহীন জানান,ওই বিষয়ে তিনি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজের সাথে কথা বলেছেন। বিষয়টি তদন্ত করবে জেলা ছাত্রলীগ। অভিযোগের সত্যতা,পাওয়া গেলে রোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।