সত্যবার্তাডেস্ক :
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। তবে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। আর দৈনিক শনাক্তের হারও কমেছে। গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সরকারি-বেসরকারি ৮৭৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৩টি। এর মধ্যে সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ৩৬৮টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ৬০৪টিতে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ছয়জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ২২ হাজার ৫৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৫৭ জন রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আর রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ জুলাই। তবে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৯টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জন। আর মোট প্রাণহানীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৭ জন। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৫৬০ জন পুরুষ আর ১০ হাজার ৫১৭ জন নারী। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের সরকারি হাসপাতালে ও একজনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন আর আশির্ধ্বো দুজন। বিভাগ বিবেচনায় আটজন ঢাকা বিভাগে, একজন চট্টগ্রাম বিভাগে, দুজন বরিশাল বিভাগে, একজন রংপুর বিভাগে আর একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।