আলিফ বিন রেজা,
সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতা :
কোরবানির হাটে প্রতি বারই দেখা মেলে বাহারি নাম এবং বিশাল আকৃতির পশুর। এবছর সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নাটোর জেলার সিংড়ার চলনবিলের দানব আকৃতির গরু “এম বাপ্পী”। বেশ যত্নে বেড়ে তোলা গরু দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। গরুর মালিক এবং স্থানীয়দের দাবি এটাই জেলার সবচেয়ে বড় গরু। দৈর্ঘ্য ১৩ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৭ ফুট ১০০০ কেজি ওজনের হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান এই ষাড় গরুটির নাম “এম বাপ্পী”।
ওজন, আকৃতি আর সৌন্দর্যে নজর কাড়া সিংড়ার এম বাপ্পীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে তোলার জন্য। জানাযায়, ১ বছর ১মাস বয়সী ষাঁড়টিকে ১লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘি ইউনিয়নের করোচমারিয়া গ্রামের মো. ওসমান সরদার। স্থানীয় গরুর খামারী এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারী হাসপাতালের পরামর্শ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ১ বছর ১০ মাস যাবত ষাঁড়টিকে মোটা তাজাকরণ করেছেন।
বর্তমানে ষাঁড়টির বয়স ৩ বছর। সিংড়ার এই দানবাকৃতির এম বাপ্পীকে দেখতে প্রতিদিনই ওসমানের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। সিংড়ার এম বাপ্পীকে যিনি ভালোবেসে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন মোঃ ওসমান সরদার। কৃষক ওসমানের ঘরে দামি ফ্যান না থাকলেও গরুর জন্য আছে আইপিএস ফ্যানের ব্যবস্থা। নিজে খেতে না পারলেও সখের এই এম বাপ্পীকে খাওয়ানো হয়, ভুসি, কাঁচা ঘাস, খড়, কলা সহ বিভিন্ন ফলমূল, ফলে দামের হিসেবেও ছাড় দিতে চান না কোনো। জানিয়েছেন সিংড়ার এম বাপ্পীর দাম হাকা হবে ১০ লাখ টাকা। স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ আলতাব হোসেন দেখতে আসা লোকজনকে জানান, কালিগঞ্জ গ্রামের পশু কৃষক ওসমান সরদারের ঘরে প্রায় ২ বছর ধরে লালিত পালিত হয়ে আসছে “এম বাপ্পী”।
তাই এই গরুটিকে নিয়ে প্রত্যাশার শেষ নেই তার। গরুর মালিক ওসমান সরদার বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে এম বাপ্পী নামক গরুটিকে। আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাওয়াইছি। পাশাপাশি ছোলা, ভূষি এমনকি প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে।
তিনি আরো বলেন, কুরবানী আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ১০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করা হবে। তবে আমার ইচ্ছা কুরবানীর হাটে নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে বিক্রি করা। কালিগঞ্জের পশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নাজিম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে সফল ব্যক্তি ওসমান কে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।