মোঃ তানভীর রহমান
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,
পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;
ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,
বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি;
ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি
খুব করে ঝুঁকে থাকা;
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা
ভিতরে-বাহিরে দুজনের হেঁটে যাওয়া।
তার উদাহরণ মামুন (২২) ও খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। ছয়মাস প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। নাটোরের গুরুদাসপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন।
জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার। আর মামুন নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। ২০২১ সালের ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয়। এরই মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
খাইরুন নাহার বলেন, তার প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার একটি সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহের কারণে সেই সংসার বেশি দিন টিকেনি। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় ফেসবুকে মামুনের সাথে পরিচয়। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।
মামুন বলেন, মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কি বলল সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চাই।