মোঃ তানভীর রহমান :
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কৃষকের স্বয়ন ঘর থেকে পাওয়া গেলো ২৫টি গোখরা সাপ। বুধবার বিকেলে উপজেলা পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার মৃত সাদেক আলীর ছেলে কৃষক সৈয়দ আলীর স্বয়নঘর থেকে একটি মা সাপ ও ২৪টি বাচ্চা গোখরা সাপ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত দুইদিন আগে কৃষক সৈয়দের স্ত্রী ঘরের মেঝেতে সাপের খোলশ দেখতে পান। এলাকাবাসীর পরামর্শে বাজার থেকে কার্বনিক এসিড ক্রয় করে স্বয়নঘরে রাখেন। পরে বুধবার দুপুরের পর থেকে সাপের একটি বাচ্চা বের হতে দেখে আতংকিত হয়ে পরেন। প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় কোদাল ও সাবলের সহযোগিতায় মেঝে খুরতে থাকলে একের পর এক ওই গোখরা সাপের বাচ্চা গুলো বের হতে থাকে। একপর্যায় মা সাপটিও বের হয়।
তখন এলাকাবাসী মা সাপটি বিষধর হওয়ায় নিজেদের সুরক্ষার জন্য মেরে ফেলেন। একটি মা সাাপ সহ মোট ২৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। কৃষক সৈয়দ আলী জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে তার মেয়েকে রাতের আধাঁরে একটি সাপ কামড় দেয়। স্থানীয় উঝাঁকে দিয়ে বিষ নামিয়ে নেন তিনি। তারপর অনেকের পরামর্শে বাজার থেকে কার্বনিক এসিড নিয়ে এসে তিনি বাসায় নিজ শোবার ঘরে রেখে দেন। বুধবার দুপুরে ঘরের মেঝের একটি গর্ত থেকে সাপের একটি বাচ্চা বের হতে দেখে আতংকিত হয়ে পরেন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেঝে খুরতে থাকলে একের পর এক বাচ্চা গুলো বের হয় এবং কোদালের আঘাতে মারা যায়। বের হওয়া ২৪টি বাচ্চা ও একটি মা সাপকে বাড়ির পাশেই মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান জানান, সাপ মারা অন্যায়। আতংকিত না হয়ে পরিবেশকর্মীদের অথবা স্থানীয় বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে সাপ গুলো উদ্ধার করে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে দেওয়া যেতো ।