আজ- মঙ্গলবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

গ্রামে বসে মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে : পলক

আলিফ বিন রেজা :

সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গ্রামে বসে মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে। মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি, গ্রামে বসে জমির খাজনা, খারিজ, টেক্স, বিল প্রদান করছেন। যে কাজগুলো ৩ মাস সময় লাগলো, তা এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাচ্ছে। শনিবার(১১ নভেম্বর) দুপুরে সিংড়া শেরকোল ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পুর্তি ও উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের দৌড়গড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। ২০৪১ সাল নাগাত ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদান করা হবে। এবং ৫ লাখ তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিলেন ডিজিটাল সেন্টারের সেবাটা গ্রাম থেকে শুরু করবেন। তিনি সেই সেবায় একজন ছেলে উদ্যোক্তা এবং একজন মেয়ে উদ্যোক্তাকে বসিয়েছেন।

 

২০১৩ সালে দেশের সকল পৌরসভায় ‘পৌর ডিজিটাল সেন্টার’ ও সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’ ২০১৮ সালে বিশেষ জনগোষ্টির চাহিদার আলোকে ‘স্পেশালইজড ডিজিটাল সেন্টার’ এবং ২০২৩ সালে গ্রাম পর্যায়ে ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পলক বলেন, আগামী ২০৪১ সাল নাগাত সারাদেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ সেবা প্রদান করা হবে। এবং ৫ লাখ তরুণ-তরুণীদের এই ইনকিউবেশন থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়ণে দেশব্যাপী ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করছেন। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩৮৫ অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তারা সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিকদের কাছে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লক্ষের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রাম পর্যায়ে ১ হাজার ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। ২০ লাখ তরুণকে স্মার্ট স্কীলস প্রদান ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হবে। সারাদেশের সকল ডিজিটাল সেন্টারে একটি করে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য ২০২৪ সালের মধ্যে সকল উপজেলাতে ‘স্মার্ট’ সিএমএসএমই হাব বাস্তবায়ন করা হবে।

 

নাটোর জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—এটুআই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক(যুগ্ম সচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভুঞা, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, সিংড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ। এসময়ে প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে অনলাইলে সিংড়া উপজেলার ৪২টি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর ও উদ্ধোধন করেন।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর