সত্যর্বাতা ডেস্ক :
সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ হাত ছাড়া করেছে টাইগাররা। গতকাল হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। স্বাগতিকদের ১১৫ রানের জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল আগেই টপকে গেছে আফগানিস্তান। উইকেটের হিসাবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে আফগানদের জয় আছে আর মাত্র একটি। সফরকারীদের এ বিশাল জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল টাইগার ফিল্ডারদেরও। হযরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গণির তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন তারা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫ ছয়ের সাহায্যে ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া জাজাই। দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ৪৮ বলে ৪৭ রানে থেমেছেন গণি। টাইগারদের হারানোর ফলে
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করল আফগানিস্তান। এছাড়া মুখোমুখি দ্বৈরথে আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতে এগিয়ে নবী-রশিদরা। আর সুযোগ পেয়েও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জেতা হলো না টাইগারদের।
বাংলাদেশের ১১৬ রানের জবাবে শুরু থেকে সাবধানে খেলতে থাকে আফগানিস্তান। তবে উইকেট শিকারের সুযোগ পেয়েও তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়। হজরতুউল্লাহর ক্যাচ উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন নাসুম আহমেদ। এরপর দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসানের বলে আউট হন রহমানউল্লাহ। তিনি ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন। শুরুতে উইকেট হারালেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। হজরতউল্লাহ ও ওসমান অর্ধশত রানের জুটি গড়েন। সাকিব, শরিফুল ও নাসুমরা আঁটসাঁট বোলিং করেও উইকেট শিকার করতে ব্যর্থ হন। তবে দলীয় ১০৩ রানে আউট হন ওসমান। তিনি মাহমুদউল্লাহর বলে উইকেটের পেছনে লিটনের ধরা পড়েন। এর আগে দুটি ক্যাচ মিস করেছে টাইগাররা। ফলে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েছে সিরিজ ভাগাভাগি করে।
এছাড়া টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশ হারাতে থাকে উইকেট। এদিন মুনিম শাহরিয়ার মোহাম্মদ নবীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন। ১০ বলে ১ চারে মুনিমের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। এরপর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। এই ম্যাচে ১ ছয় মেরে তেমন আভাসই দিচ্ছিলেন। তবে ১০ রানে থামতে হয় তাকে। এরপর দলীয় ৩৮ রানে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম।
তিন উইকেট খুইয়ে টাইগাররা যখন ধুঁকছিল তখন হাল ধরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তিনি আজমতুল্লাহর বলে আউট হন। ১৫ বলে ৯ রান করেন সাকিব। এরপর দলীয় ৮৮ রানে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি মুশফিককে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন টাইগার দলপতি। মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ৩ চারের সাহায্যে ২১ রান করেন। এর আগে টি- টোয়েন্টি ২ হাজার রানের ল্যান্ড মার্ক স্পর্শ করেন। গতকাল নিজের ১০০তম টি- টোয়েন্টি ম্যাচে ক্রিজে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মুশফিক। তিনি ২৫ বলে ৩০ রান করেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হয় টাইগাররা।