আজ- বৃহস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিজিবি সদস্যের ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী !

সত্যবার্তা ডেস্ক !!

 

পাবনায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক বিজিবি সদস্যের ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলা, সিরাজগঞ্জ,ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জেলা ডিবির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দোহাকালা গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মাসুদ করিম (৪৭), বড় পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সাবেদ প্রামাণিকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়ার নান্নু মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩৩), চর আঙ্গুরু গ্রামের আব্দুস শুকুর মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮), প্রামাণিকপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের প্রামাণিকের ছেলে মাসুদ রানা (৩২) ও ভোলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. হোসেন ড্রাইভার (৩৬)।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, গত ২৫ আগস্ট পাবনার জনতা ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে পার্শ্ববর্তী আমিনপুর থানার মোবারকপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বিজিবি সদস্য শরিফুল ইসলাম আট লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ির দিকে রওনা হন।

পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে নান্দিয়ারা কবরস্থানের সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস শরিফুলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়।

পরে চোখ ও হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আলাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারা। পরদিন ২৬ আগস্ট শরিফুলের বাবা হাবিবুর রহমান আমিনপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে এই বিষয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

অভিযোগের সূত্র ধরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে ডিবি তদন্তে নামে। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে টানা এক সপ্তাহ তদন্ত করে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। কয়েক দফা অভিযানে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের সিগন্যাল লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আলামত উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার। কয়েকজনের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর