সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জামিউল আলিম জীবনের জানাজা সকাল ১১ টায় রামশার কাজীপুর আমতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ আমতলী তার নিজ বাসভবনে এসে পৌঁছায়। এবং জানাজা শেষে জীবন কে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত হয়ে নাটোর সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের নির্মম হামলার শিকার হয়ে জীবন এবং তার পিতা ফরহাদ হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল এর চিকিৎসকরা ২১ শে সেপ্টেম্বর তার পরিবার কে জানিয়েছেন জীবন মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু কেন নাটক সাজানো হলো কে এই নাটকের মূল হোতা? কার কারনে নাটক সাজিয়ে ৩টা দিন রাজশাহী মেডিকেল এ রাখা হলো। কাকে বাঁচানোর জন্য এই রাজনীতি? আসাদকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক এবং নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, প্রকাশ্য দিবালো’কে আমতলী বাজারে জীবনের উপর নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এবং তার ভাইয়েরা হামলা চালায়। জীবনের এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এবং জীবনের হত্যাকারী যেই হোক, যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
জীবনের চাচা এস এম ফিরোজ বলেন, আমার ভাতিজা কে নিয়ে যখন রাজশাহী মেডিকেল আমরা হতাশায় ভুগছিলাম। ডাক্তার বলছে জীবন মারা গেছে আমি ফেসবুকে পোস্ট করলাম। পরে আবার বলছে জীবন জীবিত আছে অপারেশন করতে হবে থাক সেগুলো কথা আর বলতে চাই না। সব শেষে পুঠিয়া ও দূর্গাপুর আসনের সাংসদ ড. মনসুর রহমান এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন, তিনি সবসময় আমাদের কে রাজশাহী মেডিকেলে সহযোগিতা করেন।