সত্যবার্তা ডেস্কঃ
নাটোরের নলডাঙ্গা সোনাপাতিল মহিলা কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদকে প্রভাষক আব্দুস সালাম কৃর্তক পেটানোর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটি। রোববার বেলা ১০ টার দিকে সোনাপাতিল মহিলা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ সিন্ধান্ত হয়।এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার চেয়ে কলেজের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীর গন স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম কে ধাপাচাপা দিতে কলেজের জোষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালাম কৃর্তক ওই কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদকে পেটানোর ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার সকাল ১০ টার দিকে ম্যানেজিং কমিটির সভার আয়োজন করা হয়।প্রধান হিসবারক্ষককে পেটানোর ঘটনার ১১ দিন পর তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া নির্দেশ দেন ম্যানেজিং কমিটি। তবে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রন্তা আহমেদের ব্যাক্তিগত সহকারী খন্দকার আরাফ মাহাতাব (প্লাবন) হলেও প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়োগ থেকে শুরু সকল বিষয়ে খবরদারী করার অভিযোগ উঠেছে নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রন্তা আহমেদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামীলীগ নেতা আয়ুব আলী মন্ডল,ওমর আলী,আকতার হোসেন,কাউন্সিলর মাহব্বু হোসেন, আবু বক্কর অভিযোগ করে বলেন, কলেজের হিসাবরক্ষক কে পেটানোর ঘটনা নিষ্পতি করতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় ম্যানেজিং কমিটির কেই না হলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা,জনপ্রতিনিধি ও গন্যম্যন্যব্যাক্তিদের সভা থেকে বের করে দিয়ে নিয়ম লংঘন করে নাটোর- নওগাঁ আসনের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রন্তা আহমেদ সভার সকল সিন্ধান্ত নেন।এতে আমরাসহ এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হই। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াকুব আলী মন্ডল বলেন,যেহেতু কলেজের ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য নন সংসদ সদস্য রন্তা আহমেদ তবুও কোন এখতিয়ায়ে আমাদের সবাইকে বের দেন।যদিও আমাকে বলেছে শুধু আপনি থাকেন।
কিন্ত আমি নিজেই সভা থেকে অন্যদের সাথে বের হয়ে আসি। মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুনজুর আলম বলেন,কলেজের প্রধান হিসাব রক্ষক কে পেটানোর ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তবে তদন্ত কমিটিতে কারা থাকবেন সে আমি জানি না।ম্যানেজিং কমিটির সভায় সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ স্যার উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খন্ডকার আরাফ মাহাতাব বলেন,কলেজের প্রভাষক ও হিসাবরক্ষকের মধ্যে বিবাদের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সবাইকে নিয়ে বিবাদমান সমস্যার নিরসন করা হবে।তবে ডিগ্রি পর্যায়ে ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে বানিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি তবে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রন্তা আহমেদ বলেন,আমি সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির কেউ না।তবে আমার একান্ত ব্যাক্তিগত সহকারী খন্ডকার আরাফ মাহাতাব প্লাবন এই কলেজের সভাপতি।
তাকে সহযোগিতা করতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় আসি।ওই সভা থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা,জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যাক্তিদের সভা থেকে বের দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন,নিয়মনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভায় সদস্য ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না,তাই তাদের বের হয়ে যেতে বলি।এতে কোন নিয়ম লংঘন হয়নি। উল্লেখ্য,গত ৩১ মে দুপুরে সোনাপাতিল নলডাঙ্গা কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদ কে ওই কলেজের জোষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালাম কোন কারন ছাড়াই বেদম পেটায়।এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও আহত হিসাবরক্ষক বিচার চেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি বরাবর আবেদন করেন।এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলছে।