সত্যবার্তা ডেস্ক :
নাটোরের গুরুদাসপুরের কাছিকাটা গ্রামের আক্কাস এর মোড়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার চেস্টা করে সন্ত্রাসীরা।আহত ব্যক্তির নাম হাসিনুর রহমান।ঘটনা সুত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে ঝামেলা ছিলো খাইরুল ও ফজলুর সাথে।পিতা কাদের মোল্লা।বাড়ি তারাশ থানার চর এনায়েতপুর এলাকায়।দীর্ঘদিন ধরে হাসিনুর রহমান এর জমি দখল করে রেখেছিলো খাইরুল ও ফজলু।হাসিনুর রহমান এর প্রতিবাদ করলে ফজলু ও খাইরুল মেরে ফেলার হুমকি দেয়।যেমন কথা তেমন কাজ।গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ভাড়াকরা সন্ত্রাসী দিয়ে হাসিনুর রহমানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।আর এটার সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম পিতা জব্বার।এদের সবার বাসা তারাশ থানায়।হাসিনুর রহমান রাতে বাসা থেকে কাছিকাটার উদ্দেশ্য বের হলে সন্ত্রাসীরা হাসিনুর রহমানকে টার্গেট করে।হাসিনুর কাছিকাটা আক্কাশের মোড়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে।ওদের হাতে লোহার রড চাইনিস কুরাল ছিলো।প্রথমে চাইনিস কুরাল দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে হাসিনুর রহমান হাত দিয়ে বাধা দেয়।পরে কোপ লাগে হাতে পরে?চাইনিস কুরাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।এবং লোহার রড দিয়ে সারা শরীর এ আঘাত করে।আশে পাশের লোক বাধা দিতে গেলে তাদের উপর ও আক্রমণ করে।
ঘটনা স্থলে নাটোর র্যাব ৫ গেলে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে ,গ্রেফতার কৃতরা হলো ছাইকোলা বিলগ্রাম এর লরিম আলীর ছেলে সোহেল রানা।শমসের প্রামানিক এর ছেলে ইমন হোসেন ও মোহাসিন আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন।পাবনা চাটমোহরের ছাইকোলা চর এনায়েতপুর এলাকার জয়নাল প্রামানিক এর ছেলে সাকিল হোসেন।এবং এনায়েতপুর হোন্ডিগুলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের রাকিবুল হাসান। আটক করার সময় তাদের কাছে থাকা লোহার রড কাটিং প্লাস মোবাইল এবং ৮ টি সিম উদ্ধার করা হয়। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে এবং তাদের নামে নিয়মিত মামলা জারি করা হয়েছে।