
সত্যবার্তা ডেস্ক:

খুন, অস্ত্র মামলাসহ ১৩ মামলার আসামি রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল (৩১)কে মঙ্গলবার (১৪ জুন) ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতার রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি একজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক। প্রায় সাত বছর আগে নিজেদের পছন্দে চক বৌদ্ধনাথপুর এলাকার লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী ও রাসেল বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলেও রয়েছে। গত ২৩ মার্চ দস্যুতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংক্রান্তে নাটোর সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন রাসেল। এরপর তাকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন সাথী। রাসেল ডিভোর্সের সংবাদ পেয়ে বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হওয়া রাকিবের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন।

মুক্তা ধর বলেন, এরপর ৩১ মে রাসেল জামিনে মুক্তিলাভ করে এলাকায় এসে খুঁজতে থাকেন রাকিবকে। ১ জুন দুপুর ১২টার দিকে কৌশলে রাকিবকে ডেকে নিয়ে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের ৩নং ওভার ব্রিজের ওপর যান। সেখানে রাসেলকে দেখা মাত্রই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন রাকিব। এসময় রাসেল সঙ্গে থাকা লোকদের সহায়তায় রাকিবের পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার ঘটনার পর নিহত রাকিব হোসেনের বড় ভাই মো. শাকিল হোসেন গ্রেফতার রাসেলকে প্রধান আসামি করে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতার রাসেল ওরফে কাটা রাসেলের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, চুরি, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলা তদন্তাধীন ও অবশিষ্ট ১১টি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, রাকিবকে হত্যার ঘটনায় রাসেলকে জিজ্ঞাবাদে অন্যকেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।