
মোঃ তানভীর রহমান
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
নাটোরের গুরুদাসপুরে নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮/১০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নন্দকুজা নদীর ওপর ওই বাঁশের সাঁকোটি অবস্থিত। ওই বাঁশের সাঁকোটি গুরুদাসপুরপুর ও সিংড়া এই দুই টি উপজেলায় কে বিভক্ত করেছে। নন্দকুজা নদীর এক পাশের সিংড়া অন্যপাশে গুরুদাসপুর উপজেলা। এই দুইটি উপজেলার মানুষের পারাপার হওয়ার জন্য কোনো সেতু বা ব্রিজ নেই। অবশেষে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে নির্মাণ করে এই বাঁশের সাঁকোটি। সেই বাঁশের সাঁকোটিই ৮/১০ গ্রামের মানুষের নদী পার হওয়ার শেষ ভরসা।ঐ সকল গ্রামের মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয় বাঁশের সাঁকোটি। নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ওয়াবদা বাজার এলাকায় এই জনদুর্ভোগ। এই এলাকায় ব্রীজ-সেতু না থাকায় এলাকার স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ কে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই সাকো পার হয়ে নিজের গন্তব্যে পৌছাতে হয়।
প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে আসছে সীমান্তবর্তী দুই এলাকার মানুষ। এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটি আশে পাশের ৮/১০ টি গ্রামের মানুষের নদী পার হওয়ার একমাত্র হাতিয়ার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নন্দকুজা নদীর গুরুদাসপুর অংশে বসেছে হাট। সপ্তাহে ২ দিন শনিবার ও বুধবার এই হাট বসে। এই হাটে সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর অংশে চন্দ্রপুর, শ্যামপুর কুঠিপাড়া, চন্দ্রপুর মহলদার পাড়া, ময়মনসিংহ পাড়া, চন্দ্রপুর ঠাকুরপাড়া, ফকিরপাড়া, চন্দ্রপুর তুলাধনা সহ বিভিন্ন অঞ্চল, এবং সিংড়া অংশে রয়েছে, টলটলিপাড়া, শালিখা মন্ডলপাড়া, পাগলাতলা, মাটিকোপা, হাতিয়ান্দহ, ও চামারি সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে আসছে। বাঁশের সাঁকো নিয়ে কথা বললে ঐ এলাকার লোকজন বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি এখানে একটি ব্রিজ হবে কিন্তু এখনো কোনো ব্রিজ হওয়ার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ যাতায়াত, চলাফেরা সহ ওয়াবদা বাজার হাটের দিন দ্রব্য-সামগ্রী নেওয়া-আনা খুব সমস্যা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, অসুস্থ রোগি কে হাসপাতালে সময় মত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সাবিনা খাতুন বলেন, এই এলাকায় ব্রীজ না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। ছোট ছোট বাঁচ্চাদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়।
শালিখা গ্রামের, আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল ইসলাম মাষ্টার(অবঃ) জানান, এখানে ব্রীজ না হওয়াই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন থেমে আছে, ব্রীজ না থাকার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে খুব সমস্যা হয়, এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা অতিপ্রয়োজন। এখানে অতিদ্রুত ব্রীজ নির্মাণের জন্য এলাকার পা ফাটা খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিক সহ এলাকার সাধারণ জনগণ জোর দাবি জানিয়েছেন।