সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোরের সিংড়া থানার ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামী মোঃ নওশাদ আলী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ এর একটি আভিযানিক দল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রংপুর মহানগরীর সিও বাজার এলাকায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর সামনে থেকে, নাটোর সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এবং র্যাব-১৩ রংপুরের সহযোগিতায় আসামী মোঃ নওশাদ আলী (৫০) পিতা- মৃত ঝড়ু মোল্লা, সাং- শৈলমারী, থানা- সিংড়া, জেলা নাটোর’কে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে রোজ বুধবার রাতের খাবার শেষ করে ভিকটিম পর্ব দুয়ারী শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য একই রাত্রি আনুমানিক সাড়ে এগারো টায় বাহিরে গেলে চরিত্রহীন মোঃ নওশাদ আলী ঐ সুযোগে ভিকটিম এর ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। ভিকটিম প্রাকৃতিক কাজ সেরে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। এই সময় আসামী তার অসৎ উদ্দেশ্য ও কামভাব চরিতার্থ করার জন্য হাতে ডেগার নিয়ে ভিকটিম কে চিৎকার করতে নিষেধ করে এবং খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্য ভিকটিম এর বুকের উপর চেপে বসে। ভিকটিম আসামীকে ধর্ষণ না করার জন্য অনুরোধ করলেও আসামী তা না শুনে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ধস্তা-ধস্তির শব্দে ও ভিকটিম এর ডাক-চিৎকারে সাক্ষীগণ সহ এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে, আসামী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মোঃ নওশাদ আলী কে ধরে ফেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামীর আত্মীয় স্বজনরা এসে মোঃ নওশাদ আলী’কে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা করলে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে জানে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। ভিকটিম এর পরিবার এই বিষয়ে নিজ গ্রামে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করে, মামলা দায়ের এর পর আসামী মোঃ নওশাদ আলী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
উক্ত ধর্ষণ এর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন ও এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টিসহ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। র্যাব ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী জোরদার করে। এরই প্রেক্ষিতে নাটোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল র্যাব-১৩ রংপুরের সহযোগিতায় ধর্ষক নওশাদ আলী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।