সত্যবার্তা ডেস্ক:
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে মোঃ নূর ইসলাম এর বাড়ী থেকে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পরে মোঃ মানিক খাঁর বাড়ীতে, এরপর আগুন লাগে মোঃ মজনু খাঁর বাড়ীতে, সবশেষে আগুন গিয়ে লাগে মোঃ মহন এর বাড়ীতে।
স্থানীয় এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আগুন দেখতে পেয়ে নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এর ২টি ইউনিট এসে ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
ভুক্তভুগী মোঃ নূর ইসলাম বলনে, তার রক্ত ঘামানো ঘরে থাকা নগদ ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা সহ আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ভুক্তভুগী মোঃ মানিক খাঁ বলেন, তার এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসার গচ্ছিত ১ লক্ষ্য টাকা ছিল তাঁর বাড়িতে সেই টাকা সহ বাড়ীর সব মালামাল আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ভুক্তভুগী মজনুর স্ত্রী বলেন, তার বোন ঢাকায় থাকেন সেখান থেকে ৩ লক্ষ্য টাকা পাঠিয়েছিলেন তার কাছে আগুনের লেলিহায় সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর। ভুক্তভুগী মহন এর স্ত্রী জানান, তার ঘরে তেমন নগদ অর্থ ছিলনা কিন্তু ফসলি জমির রসুন পেয়াজ সহ ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। সরকারের কাছে সকল ভুক্তভুগী দাবি জানান যেন তাদের কে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হয়, যেন তাঁরা পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।
নাটোর ফায়ার স্টেশন এর উপ-পরিচালক মোঃ মুরশেদ জানান, তাঁরা ৩ টা ৫৯ মিনিটে সংবাদ পান যে ঘোড়াগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ২টি ইউনিট ঘটনা স্থলে এসে উপস্থিত হই এবং ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে আমরা সক্ষম হই। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি যে আগুনের সূ্ত্রপাত ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি এবং আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত সাপেক্ষে আপনাদের জানাতে পারবো।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শারমিনা সাত্তার, এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে শান্তনা দেন ও ৭টি পরিবার কে নগদ ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৫ হাজার টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেন এবং ৭টি পরিবার কে ২ বান্ডিল করে ১৪ বান্ডিল টিন দিবে বলে আশ্বস্ত করেন।