সত্য বার্তা ডেস্ক:
নাটোরের লালপুর থানার একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় একজনের ফাঁসি ও আরেকজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৩ই আগস্ট) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম লালপুরের মিলকীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। স্কুলে যাওয়া আশার পথে আসামি ১| মোঃ সুমন আলী (২৬), পিতা- আব্দুল হামিদ, সাং- পোকন্দা, থানা- লালপুর, জেলা- নাটোর। ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব করা সহ কু-প্রস্তাব ও রাস্তায় নানান ভাবে উত্যাক্ত করত।
ঘটনার দিন গত ১৩/০২/২০১৬ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময়, ভিকটিম এর বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ১নং আসামি প্রথমে ভিকটিমের মায়ের ঘরের সিটকানি বাহির থেকে লাগিয়ে দেয়। এরপর ভিকটিম এর শয়নকক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এবং বিভিন্ন স্থানে ভিকটিম কে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই মামলার অপর আসামি ২| মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪৩), পিতা- আফসার আলী, সাং- সুভার, থানা- তারাশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ। তাকে অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর (রাষ্ট্রপক্ষের) স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, লালপুরপর একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৮ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে। প্রায় ৮ বছর পরে ১নং আসামি মোঃ সুমন আলী কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর (সংশোধিত/২০০৩) ৯ (১) দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাহাকে মৃত্যুদন্ড। এবং ২নং আসামি মোঃ রফিকুল ইসলাম কে অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর (সংশোধিত-২০০৩) ৯ (১)/৩০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।