
সত্যবার্তা ডেস্ক :
আখ সরবারহ না থাকায় ৩৭ দিনের মাথায় নাটোর চিনিকল ২০২২-২৩ মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) নাটোর চিনিকলের কেইনে ক্রেরিয়ার ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপ করে ২০২২-২৩ মৌসুমে ৩৯তম ৫৪ দিন মাড়াই দিবস নিয়ে আখ মাড়াই শুরু হয়। উদ্ধোধনের ৩৭ দিনের মাথায় ব্যাপক আখ সংকটে পড়ে চিনিকলটি। নাটোর চিনিকল এলাকায় এখনও প্রায় ২০ হাজার মে.টন আখ দন্ডায়মান রয়েছে। এসব আখ চাষিরা বেশি দামে পাওয়ার ক্রাশারে গুড় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করছেন ।
জানা গেছে, ৫৪ দিনের কর্মদিবস নিয়ে ৮০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নাটোর চিনিকলের ২০২২-২৩ মৌসুম শুরু হয়। ৩৭ দিনের মাথায় মাত্র ৫০ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করেছে নাটোর চিনিকল। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তারা চাষিদের আখ সরবারহকরার জন্য উদ্বদ্ধু করেও তারা মিলে আখ সরবারহ করেননি। আখ চাষিরা তাদের জমির উৎপাদিত আখ গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
নাটোর চিনিকল থেকে চাষিদের সার, ব্রীজ ও নগদ টাকাসহ ঋণ নিয়ে চুক্তি মোতাবেক মিলে আখ সরবারহের কথা থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফায় কলে আখ বিক্রি করছেন। চাষিরা প্রতিমণ আখ ২৫০-২৮০ টাকায় গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। ফলে আখ সংকটে বন্ধ হলো এই চিনিকলটি। বর্তমানে নাটোর চিনিকল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আখ থাকা সত্ত্বেও চাষিরা আখ দিচ্ছেন।
নাটোর চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছিল ৬.২০ ভাগ। এদিকে মাত্র ৩৭ দিনে ৫০ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করেছে চিনিকল। চাষিরা আখ সরবারহ না করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া বলেন, নর্থ বেঙ্গল মিল এলাকায় প্রচুর অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার কল থাকায় নাটোর চিনিকল এলাকার আখগুলো সেখানে পাচার হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পাওয়ার ক্রাশার গুড় ব্যবসায়ীরা আখ কিনছেন। ফলে আখের সংকটে পড়ে নাটোর চিনিকল।
উপরোক্ত বিষয়টি আলোচনা করে মাঠ পর্যায়ে কিছু অসংগতি পরিলক্ষিত হয় ,যা চিনি উৎপাদনে ব্যহত হচ্ছে । কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন কারনে চিনি উৎপাদনের কাঁচামাল আখ চাষে অনিহা বিদ্যমান । চিনি শিল্পকে বাঁচাতে সকলকে সঠিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ।