সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ঢাকুপাড়া ৫নং ওয়ার্ডের তালগাছী বটতলা গ্রামের মোঃ ফারুক এর বসতবাড়ীতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূ্ত্রপাত। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস এর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে কিন্তু এর মধ্যে বসতবাড়ীর ৩ টি ঘর এবং ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র পুরে ছাই হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ ফারুক বলেন, আমি নাটোর শহরে সিকিউরিটির চাকরী করি রাত ২ টার সময় আমার এক প্রতিবেশী আমাকে ফোন করে জানায় যে আমার বাড়ীতে আগুন ধরেছে। আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীতে আসি ততক্ষণে আমার বসতবাড়ী পুরে ছারখার হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আগুনে পুড়ে তার ৯টি ভেড়া, হাঁস-মুরগী ৩০টি ও কবুতর ২০টি, একটি গরুর শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গেছে গরুটিও বাঁচবেনা। ও ঘরে থাকা ১টি ফ্রিজ ও ১টি টিভি এবং বৃহস্পতিবারে প্রয়াস নামক একটি এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা লোন তুলে ঘরে রেখে ছিলেন, ও তার শাশুড়ীর ঘরে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিল সব কিছু আগুনের তান্ডবে শেষ হয়ে গেছে তার। তিনি বলেন আমার তো প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতি তো আর পুরণ হবার নয়, যদি সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগীতা করত তিনি অন্তত ঘর তুলে পরিবার কে নিয়ে বসবাস করতে পারতেন।
ঢাকুপাড়া ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন, রাতে তিনি খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন ও পরে জানতে পারেন আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে এই জন্য তিনি রাতে না গিয়ে সকালে ঘটনা স্থলে যান। এবং বিষয়টি দিঘাপতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কে জানান ও ইউএনও মহোদয় কে ফোন দেন তিনি রিসিভ করেননি, রমজান মাস চলছে সেহেরী শেষে হয়তোবা একটু ঘুমাচ্ছেন। পরে ফোনে বিষয়টি পিআইও কে জানান, এবং নিজে গিয়ে ত্রান সামগ্রী উপজেলা থেকে নিয়ে এসে ওই পরিবারকে দেন।
দৈনিক সত্য বার্তার পক্ষ থেকে নাটোর সদরের ইউএনও জনাবা- মোছাঃ সারমিন সাত্তার এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ত্রান সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছি। এবং ওই পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আমার অফিসের লোক পাঠিয়েছি। রবিবারে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।