
সত্যবার্তা ডেস্ক :
নাটোর সদর উপজেলাধীন ৩নং দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য নাদিরুজ্জান মৃধা নাদিমের বিরুদ্ধে কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী কাবিখার প্রকল্পে কাজ করার কথা অসহায় দিন মজুরদের। কিন্তু সেটা না হয়ে ৩নং দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য তার নিজ প্রকল্প ভাতুড়িয়া থেকে হাগুরিয়া পযর্ন্ত কাচা মাটির রাস্তা মেরামত / নির্মান করতে ভেকু মেশিন ব্যবহার করতেছে। এতে যেমন অসহায় দিন মজুর সরকারের কাবিখা প্রকল্পের সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে অন্য দিকে অল্প খরেচ ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করে লাভবান হচ্ছে এই অসাদু ওয়ার্ড সদস্য নাদিরুজ্জমান মৃধা নাদিম।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ার্ড সদস্য নাদিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে, এ প্রকল্পটি ইউএনও মহাদোয়ের কাজ এবং তিনি নিজেই এ প্রকল্পের কাজ দেকভাল করেছেন। ওয়ার্ড সদস্য নাদিমের কথার ভিত্তিতে নাটোর সদর উপজেলা র ইউএনও মহাদোয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে উক্ত প্রকল্পের কাজের কথা আমি জানিনা। আর কাবিখা প্রকল্পের কাজ কেন ভেকু মেশিন দিয়ে বাস্তবায়ন হবে? উপরোক্ত বিষয়ে আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে সরোজমিনে দৈনিক সত্য বার্তা র প্রতিনিধি গন উপস্থিত হলে সাধারণ অসহায় দিন মজুর (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ) বলেন সরকার আমাদের সুবিধার জন্য কাবিখা প্রকল্প অনুমোদন দেন আর নাদিমের মত অসৎ মেম্বারা তা অসৎ উপায়ে বাস্তবায়ন করে রাতারাতি কালো টাকার পাহাড় গড়ে। এদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
এদিকে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩নং দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে, এ প্রকল্পটি অনেক আগের, আমি চেয়ারম্যান হওয়ায় আমাকে উক্ত প্রকল্পটি উদ্বোধন করার জন্য বলেন। অন্য দিকে ইউএন মহাদোয়ের বিষয়ে জানালে কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন যে,কোন মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না এবং কাহারও নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কাজ করা যাবে না।
যাই হোক ,সকল জন সাধারণের দাবি ,একজন ওয়ার্ড সদস্য কি করে কাবিখা প্রকল্পের কাজ ভেকু মেশিন দিয়ে বাস্তবায়ন করে? আর ইউএন মহাদোয়ের নাম ভাঙ্গানোর মত সাহস কি করে পায়? এসমস্ত মুখোশ ধারী জনপ্রতিনিধিদের মুখোশ জাতির কাছে উনমোচিত করা উচিত ।