আজ- সোমবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

নাটোরে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় বেনার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি!

সত্যবার্তা ডেস্ক:

 

নাটোরে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাকি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর এনএস সরকারী কলেজ অডিটেরিয়ামে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দলীয় একটি সুত্র জানায়, ব্যানারে ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ-বিন আজিজের নাম থাকলেও সংগঠনের জেলা সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের নাম না থাকায় দু’টি পক্ষের মধ্যে এই হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়র পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনার প্রায় এক ঘন্টা পর নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বর্ধিত সভার কাজ শুরু হয়। তবে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের দাবি, অনুষ্ঠানের ব্যানারে নাম দেয়া নিয়ে কোন ধরনের ঘটনায় ঘটেনি। কয়েকজন ছাত্রের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়েছে মাত্র।

জানাযায়, মঙ্গলবার নাটোর এনএস সরকারী কলেজ অডিটেরিয়ামে জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত ছিল। অনুষ্টানের ব্যানার টানানোর পর ব্যানারে ছাত্রলীগ জেলা সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের নাম না থাকায় তার সমর্থকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। এতে ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক শাহিনের সমথর্করা ক্ষুদ্ধ হয়ে ব্যানার টেনে খুলে ফেলে এবং সভাপতি ফরহাদ -বিন আজিজের সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে গালাগালি সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। নেতৃবৃন্দ তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভার কাজ শুরু হয়।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ -বিন আজিজ ও সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন বলেন, তাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। ব্যানারে নাম না থাকা নিয়ে যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়। ২/৩ জন কর্মী ও সমর্থকের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারনে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়েছে মাত্র। কোন ধরনের সংর্ঘষ বা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। এমন প্রপাকান্ডা উদ্যেশ্য প্রণোদিত। জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে কোন দন্দ্ব বা বিরোধ নেই। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মী সমর্থক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।

জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজনের নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এনিয়ে কয়েক জন নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কোন সংঘর্ষ বা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রপাকান্ডা ছড়ানো হয়েছে।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, এনএস সরকারী কলেজ অডিটেরিয়ামে ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে গন্ডগোলের কথা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়ে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।

নাটোর এনএস সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জহিরুল ইসলাম জানান,অডিটেরিয়ামে একটি ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল বলে শুনেছি। তবে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনার খবর তার জানা নেই। ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাহিরে তাই এবিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানবেন ।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর