সত্য বার্তা ডেস্ক:
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ নিশান প্রামানিক এর বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদী। মোছাঃ মণিকা বেগম মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা গৃহবধূ মণিকা বেগমকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় খদ্দেরসহ আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার সময় নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকায় অবস্থিত ভিআইপি আবাসিক হোটেলের ৪০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে খদ্দেরসহ আটক করা হয়।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাটোর সদর থানার এএসআই মোঃ আসমাউল হক সহ সঙ্গীয় ফোর্স নাটোর শহরের হরিশপুরে হোটেল ভিআইপিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হোটেলটির ৪০৫ নং কক্ষ থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের নয়ন প্রামানিকের কথিত স্ত্রী মণিকা খাতুনকে তার খদ্দের নাটোরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার ফায়জুলের ছেলে টুটুল আটক করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ জুন মোছাঃ মনিকা বেগম নলডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি নিশানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে গত ৫ জুন রাতে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় নিশানকে ওই রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন মামলাটিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে এলাকাবাসী মোঃ নিশানের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় মানববন্ধনে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, নাটোরের নলডাঙ্গায় রেলওয়ের একটি জলাশয় লিজ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই মামলা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও গোরস্থানের উন্নয়নকল্পে বরাবরের মত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রেলওয়ের একটি জলাশয় লিজ নেওয়া হয়। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য একটি জাল কাগজ তৈরী করে জলাশয়টি দখল নিতে চেষ্টা করে। জলাশয়টি তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিবাদ করে মোঃ নিশান। আর সেই বিরোধের কারনেই ওই গৃহবধুকে জড়িয়ে মামলাটি করানো হয়।
পরবর্তীতে গত ৮ জুন নাটোর শহরের একটি রেস্তোরায় ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ মণিকা ওরফে স্মৃতি অভিযোগ করেন, গত সোমবার (৫ জুন) রাতে ছাত্রলীগ নেতা নিশানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও মেয়রের ভাতিজা সাগর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আপোষ করে মামলা না তুললে তারা তাদের অনুসারিদের দিয়ে আমাদের একঘরে করে রাখার হুমকি দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ডিং তার কাছে রয়েছে। হুমকি ভয়ভীতি বন্ধে নাটোরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এই বিষয়ে মেয়র মরিুজ্জামান মনির এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারবিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি জন প্রতিনিধি হিসেবে শুধু সমঝোতা করে নেওয়ার কথা বলেছেন, কোন হুমকী দেননি। সংবাদ সম্মেলনের দুইদিন পরে কথিত সেই গৃহবধু মনিকা খাতুন শনিবার সন্ধ্যায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় খদ্দের সহ গ্রেফতার হলেন।