মোছাঃ তৃষ্ণা খাতুন,
নাটোর সদর উপজেলা প্রতিনিধি:
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের তেলকপি গ্রামের মৃত মিন্টু মোল্লার ছেলে মোঃ সাগরের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজাসহ দুই গৃহবধূকে আটক করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এস আই মোশারফ ও এএসআই মোঃ মাইদুল সহ পুলিশের একটি টিম। অদ্য ০৬-০৬-২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। নলডাঙ্গা থানার কালিগঞ্জ এলাকা থেকে একটি নীল রঙের পিকআপ কে ফলো করে। নাটোর সদর উপজেলার তেলকপি এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাগরের বাড়ীর সামনে পিকআপ রেখে সাগর পালিয়ে যায়। পরে পিকআপ তল্লাশি করে কোন কিছু না পেয়ে সাগরের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায় এবং সাগরের গরুর ঘর থেকে ঘড়ি দিয়ে ঢেকে রাখা দুইটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ ১| মোছাঃ সোনালী বেগম, পিতা- মোঃ সুমন প্রামানিক, ২| মোছাঃ নীলা বেগম, পিতা- মোঃ আমির আলী, উভয়ের সাং- তেলকপি, থানা ও জেলা নাটোর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এই মাদক সম্রাট মোঃ সাগর কে ধরার জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করি কিন্তু সে খুব চালাক চতুর প্রকৃতির লোক একেক সময় একেক জায়গা বদল করে। সব শেষে সোমবার বিকালে এতো বড় একটি মাদকের চালান ধরতে সক্ষম হই কিন্তু দুঃখের বিষয় সাগর কে আমরা ধরতে পারেনি সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে সাগরের স্ত্রী সোনালী বেগম কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,
এই গাঁজা লালমনিরহাট থেকে সাগর ক্রয় করে পিকআপ সে নিজেই চালিয়ে নিয়ে আসে এবং নাটোরের বিভিন্ন স্থানে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মাদক সম্রাট মোঃ সাগর সে দীর্ঘদিন থেকে সুকৌশলে বিশাল এক মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে। এর আগেও পাবনা জেলাতে সাগর ৩/৪ বস্তা গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়ে ছিলো, তার বিভিন্ন জেলায় মাদকের মামলা রয়েছে। প্রশাসন এর কাছে আমাদের এলাকাবাসীর একটাই দাবি সরকার যদি মাদক নির্মূল করতে চায় তাহলে মাদক সম্রাট সাগরের সহযোগী সহ তার মদদ-দাতাকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এছাড়া মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।