সত্যবার্তা ডেস্ক :
নাটোরে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ‘র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনকরা হয়েছে ।
নাটোরে কেক কাটা সহ নানা আয়োজনে পৃথকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে জেলার সকল সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
নাটোরের কালেক্টরেট ভবন চত্বরের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ,ডিডি এলজি আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সকাল দশটায় অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান, এনএসআই এর উপ পরিচালক শাহিনুর সিদ্দিক, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি । বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বর্তমান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, সাহসিকতা, মানবিকতাসহ অন্যান্য গুণাবলী অনুধাবন ও অনুসরণ করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তাঁরাই আগামীতে আমাদের দেশের কান্ডারী হবে।
এছাড়া শহরের কান্দিভিটাস্থ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের কার্যালয়ে পৃথকভাবে পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সংসদ সদস্যের নাটোর কার্যালয় প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্যে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সমুহে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, পিপি সিরাজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক সামশুল ইসলাম সৈয়দ মোর্ত্তুজা আলী বাবলু,দিলীপ কুমারদাস,আকরামুল ইসলাম,মাসুদুর রহমান মাসুদ,এহিয়া চৌধুরী ,মোস্তারুল ইসলাম আলম প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ড কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এছাড়া শিশু একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন শিক্ষার্থীদের জন্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। কারাগার, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।