সত্য বার্তা ডেস্ক :
পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ছেলে মোঃ মাহফুজুর রহমান। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।
দিন মজুর রিকশা চালক সুজাদুর রহমান ও মাতা গৃহিণী শাহানাজ বেগম একমাত্র ছেলে মাহফুজুর রহমান। মাহফুজ ছয় মাস বয়সে হঠ্যাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দুই পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলেন মাহফুজুর। লাঠিতে ভর করেই চলাচল করতে হয় তার। তবুও স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার।
মানুষের ফেলে দেওয়া বোতল দিয়ে ডাস্টবিন তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ২৭ বছর বয়েসী এই তরুন। তার পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন তৈরি দেখতে অনেকেই আসেন তার বাসগৃহে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোঃ মাহফুজুর বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য ছুটে বেড়ায় নাটোরের বিভিন্ন পথে-প্রান্তরে। যেখানেই যান তার সঙ্গে থাকে একটি করে ব্যাগ। রাস্তায় পড়ে থাকা বোতল গুলো কুঁড়িয়ে ব্যাগে ভরে নিয়ে আসেন বাড়িতে আর তৈরি করেন ডাস্টবিন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মাহফুজ বলেন, একদিন হঠ্যাৎ করে আমি চিন্তা করি। ফেলে দেওয়া বোতল দিয়ে কিছু তৈরি করা যায় কিনা যা দিয়ে মানুষের উপকারে আসবে। তারপর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের ফেলে দেওয়া দুই হাজার ৫০০ বোতল সংগ্রহ করি। এরপর বোতল, গুনার তার, আর বাঁশের বাতা দিয়ে তৈরি করি ডাস্টবিন। আর এসব ডাস্টবিন নাটোরের বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিনামূল্যে স্থাপন করেছেন মাহফুজ। এসব প্লাস্টিক বোতল পরিবেশের অনেক ক্ষতিকর। প্লাস্টিক মাটির সঙ্গে মিশতে সময় লাগে ৫’শ বছরের অধিক সময়। আমরা এসব বোতল ফেলে না দিয়ে নিজেরাই ডাস্টবিন তৈরি করে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারি।