
সত্যবার্তা ডেস্ক :

নাটোর শহরের লালবাজার এলাকায় গলা কেটে সুমি সাহা(৩২) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে। নিহত সুমি ঐ এলাকার রণজিত সাহা (টেপা)র ছেলে স্বপন সাহার স্ত্রী। স্বপন ও সুমি দম্পত্তির সাত বছরের এক ছেলে ও পাঁচ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে । জানা যায় স্বপনের ডিলারশিপসহ নানাপ্রকারের ব্যাবসা রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুমি সাহা মানসিক রোগী ছিলেন। দুপুরে পরিবারের সকলে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষে সুমি তার শয়ন কক্ষে গিয়ে তরকারি কাটা বটি দিয়ে নিজ গলায় কোপ দেয়। এসময় তার গোঙানির আওয়াজ পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে নেয়ার পথে সুমির মৃত্যু হয়। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার বাসায় নেওয়া হয় ।
নিহত সুমির শ্বশুর রন্জিৎ সাহা বলেন , স্বপনের স্ত্রীর ( আমার ছেলের স্ত্রী ) সুমির নাকি পরকিয়ার সম্পর্ক ছিলো। এ নিয়ে আমার বেয়াই সুমির বাবার সাথে বিভিন্ন ভাবে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে । কিন্তু তারা কোন প্রকার সমাধান করতে পারে নাই ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন । । নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ নাছিম আহমেদ জানান এ বিষয়ে সত্যতা উৎঘটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
নাটোর পৌরসভার ২নং ওর্য়াডের কাউনসিলর মোঃ জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, আমি খবর পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হই এবং ঘটনাটি সাথে সাথে আমি চিকিৎসার জন্য হাসপালে নিতে বলি । পরকিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , এ বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নাই । আমি স্বপনের বাবা রন্জিৎ সাহার নিকট হতে শোনেছি ।