
সত্য বার্তা ডেস্ক :
নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঞ্চল্যকর পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ক্লুলেস প্রেমিক শাহীন হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহত শাহীন গত (৭ আগস্ট) বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে না ফেরায় (৯ আগস্ট) তাঁর চাচা মোঃ আকতার (৫৮), নাটোর সদর থানা একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
নাটোর সদর থানায় (জিডির) সূত্রে ধরে পুলিশ ও র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের সহযোগীতায় ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত শাহীন এর লাস্ট লোকেশন বড়াইগ্রামে জানা যায়। পরবর্তীতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও র্যাব নিহত শাহীন এর প্রেমিকা মোছাঃ হোসনে আরা (৩৫), স্বামী- মোঃ আইয়ুব আলী, সাং- জলন্দা, থানা- বড়াইগ্রাম, জেলা- নাটোর কে শুক্রবার (১১ই আগস্ট) আটক করে, শাহীন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শাহীন কে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হত্যায় অভিযুক্ত মোছাঃ হোসনে আরা বেগম (৩৫), ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে নিহত শাহীন এর দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমত অবস্থায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জেরে হোসনে আরা প্রেমিক শাহীন কে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত (৭ আগস্ট) শাহীন তাঁর বাড়িতে গেলে তাদের দুজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিকা মোছাঃ হোসনে আরা দুধের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে শাহীন কে খায়ায়। পরবর্তীতে শাহীন দুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহীনের গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শাহীনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে মোছাঃ হোসনে আরা ও তাঁর ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম @ ইমন (১৪), দুইজন মিলে বসতবাড়ির টিউবয়েল এর পাশে পূর্বেই ১০ ফিট গর্ত করে রাখা মাটির নিচে শাহীনের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পুঁতে রাখে।
নাটোরের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম (পিপিএম), শনিবার দুপুর ১২ টায় এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) নাটোর সদর থানায় শাহীন নিখোঁজ এর একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন নিহত শাহীন এর চাচা মোঃ আকতার (৫৮), জিডি’টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করি। পরবর্তীতে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত শাহীনের প্রেমিকা মোছাঃ হোসনে আরা কে শুক্রবার (১১ আগস্ট) বড়াইগ্রাম থেকে আটক করি। এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেয়া তথ্য মতে নিখোঁজ শাহীনের মৃতদেহ হোসনে আরার বাড়ির টিউবওয়েল এর পাশে ১০ ফিট গর্ত করে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় আমরা উদ্ধার করি। নিহত শাহীনের ভাই মোঃ ফিরোজ শাহ্ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মোছাঃ হোসনে আরা ও তাঁর ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম @ ইমন এর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মোছাঃ হোসনে আরা ও তাঁর ছেলে সংঘাতে জড়িত শিশু ২| মোঃ আশরাফুল ইসলাম @ ইমন লাশ গুম করার উদ্দেশ্য তাঁর মাকে সহযোগিতা করায় তাঁকেও আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি।