সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিব্দুরগ্রাম নতুন পাড়ার বাসিন্দা ভ্যান চালক মুসার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৯) বাড়ীর সাথে দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের মিটার থেকে একটি আর্থিং তার মাটিতে পুঁতা ছিল সেই তার ধরে খেলছিলেন শিশুটি হঠাৎ করেই মনিরুল তারের সঙ্গে আটকে যায়। শিশুটির দাদী আলেজান বেগম দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এসে তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শিশুটি শিব্দুরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্লী বিদ্যুতের পোল থেকে মুসার বাড়ীতে তিনটি লাইন এসেছে ও একি বাড়ীতে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া রয়েছে। এবং পোল থেকে আসা ওই বাড়ীর তিনটি সহ আরো অন্য বাড়ীরও চারটি বাড়ীর বিদ্যুৎ সংযোগ এর তার জোড়া তালি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ এর পোল দুই থেকে তিন হাত দূরে সরানো হয়েছে। এবং পল্লী বিদ্যুতের লোকজন জোড়া তালি দিয়েই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে গিয়েছে এই কারণেই এমন দুর্ঘটনা শিকার হতে হয়েছে শিশুটিকে, না হলে আর্থিং তার থেকে কেউ ইলেকট্রিক শর্ট খেয়ে মারা যায় আজকে প্রথম শুনলাম।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম প্রকৌশলী এমদাদুল হক কে “সত্য বার্তা’র পক্ষ থেকে” মুঠোফোনে বিষয়টি জানা না হলে তিনি বলেন, কি ভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নাই আপনার থেকে প্রথম শুনলাম, আমাদের লোকজনের যদি কোন গাফিলতি থাকে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাটোর সদর থানার (ওসি) তদন্ত মোঃ আজাদ। দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ। ০১ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোঃ শাহ্ আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস আলী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের নারী পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও ওই বাড়ীতে ভিড় করতে দেখা যায়, শিশুটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।