আজ- রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

নাটোরে ভাইরাল হওয়া কলেজ শিক্ষিকার আত্মহত্যা, স্বামী গ্রেফতার।

মোঃ তানভীর রহমান

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি :

 

নাটোরের গুরুদাসপুরে ফেইসবুকে প্রেম তারপর ভালোবেসে নাটোর এন,এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন কে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা মোছাঃ খায়রুন্নাহার (৪০) আত্মহত্যা করেছেন।

নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, বলারিপাড়া মহল্লার নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চতুর্থ তলায় মামুন-খায়রুন দম্পতি থাকতেন। আজ সকাল সাতটার দিকে মামুন আশপাশের বাসার লোকজনকে বলেন, তাঁর স্ত্রী খায়রুন আত্মহত্যা করেছেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁদের বাসার ড্রয়িংরুমে গিয়ে খায়রুনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মামুনকে আটক করে রাখেন। মামুন ওই সময় উপস্থিত লোকজনের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নান্নু মোল্লা ম্যানশনের প্রহরী নিজাম উদ্দিন বলেন, গতকাল শনিবার রাতে মামুন-খায়রুন দম্পতির বাসায় শুধু তাঁরাই ছিলেন। রাত দুইটার দিকে মামুন তাঁর কাছ থেকে প্রধান ফটকের চাবি নিয়ে বাইরে যান। ভোর ছয়টার সময় বাসায় ফিরে আসেন এবং সাতটার সময় তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান।

প্রহরীর ভাষ্য, খায়রুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় দাগ আছে। ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানে একটুকরা পোড়া কাপড় দেখা গেছে। কাপড়টির কিছু অংশ মেঝেতেও পড়ে ছিল। পোড়া কাপড়ের ব্যাপারে তিনি ভোরে মামুনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের রুমে শব্দ শুনে এসে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঝুলতে দেখেছেন। ওড়না খোলার জন্য তিনি তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।

আজ সকালে খায়রুনের চাচাতো ভাই ছবের উদ্দিন বলেন, তাঁর বোন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর এক ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকতেন।

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় মাসের সম্পর্কের পর গত বছরের ডিসেম্বরে মামুন ও খায়রুন বিয়ে করেন। গত জুলাইয়ে তাঁদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনায় আসেন এই দম্পতি।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছিম আহমেদ বলেন, শিক্ষিকার লাশ উদ্ধারের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষ হলে ওই শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর

সাক্ষাৎকার