আজ- শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

নাটোরে মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড!

সত্যবার্তা ডেস্ক:

নাটোরে মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের মাননীয় বিচারক মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম, উক্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এবং একই মাললার মোঃ মিঠু হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মাননীয় আদালত খালাস প্রদান করেন।

 

কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হলেন, ১। মোছাঃ হালিমা বেগম ওরফে সুন্দরী (৪০), স্বামী- মোঃ মিঠুন হোসেন, ২। মোছাঃ আম্বিয়া বেগম (২০), স্বামী- মোঃ নাঈম হোসেন, ৩। মোছাঃ জেমি খাতুন (২২), স্বামী- মোঃ আজবাহার, ৪। মোঃ নাঈম হোসেন (২৫), পিতা- আয়নাল হোসেন, ৫। মোঃ আজবাহার (২৩), পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, সর্ব সাং- চর তেবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম, থানা ও জেলা নাটোর।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এই মামলার বাদী একজন সাধারণ পরিবারের সন্তান, তার বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার চর তেবাড়িয়া গুচ্ছ গ্রামে কিন্তু সে জীবিকার তাগিদে ঢাকা গাজিপুর জেলার টংগী এলাকায় স্ত্রী ও মেয়ে কে নিয়ে থাকতো। এবং তার ছেলে ও মা গ্রামের বাড়ি নাটোরে থাকে। সেই সুবাদে মাঝে মাঝে মামলার বাদী ও ভিকটিম গ্রামের বাড়িতে আসত। এক পর্যায়ে ভিকটিমের সঙ্গে একই এলাকার মোঃ মজিবর ছেলে মোঃ বাহাদুর (১৬), এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

 

পরবর্তীতে ২৪/১০/২০২০ ইং তারিখে, অভিযুক্তরা প্রেমিক মোঃ বাহাদুর এর সঙ্গে ভিকটিম কে বিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পাবনা জেলার অজ্ঞাত একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামীরা ২৮/১০/২০২০ ইং তারিখে মোঃ বাহাদুর এর সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে দেয়। এরপর ৩০/১০/২০২০ ইং তারিখে এই মামলার প্রধান আসামী মোছাঃ হালিমা বেগম কৌশলে ভিকটিম কে পতিতালয়ে নিয়ে যেয়ে অজ্ঞাত ৫ জন পূরুষ দ্বারা পর্যায়ক্রমে শারীরিক সম্পর্ক করায়। এবং পতিতালয়ের ওই সকল পূরুষদের কাছ থেকে মোছাঃ হালিমা বেগম জন প্রতি ১ হাজার টাকা করে নেয়।

 

তারপর থেকে উক্ত আসামীরা ভিকটিম কে দিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতে থাকে। এমতাবস্থা চলাকালে ০৭/১২/২০২০ ইং তারিখে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিম সেখান থেকে পালিয়ে ঢাকায় তার বাবা-মায়ের কাছে চলে যায়। অত:পর ভিকটিমের মুখে তার বাবা-মা সব ঘটনা শুনে। এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর