সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোর নলডাঙ্গা মাননীয় বিচারিক আদালত বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত-২ এ নলডাঙ্গা এস এম ফখরুদ্দি ফুটুর করা মারামারি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় আদালত এবং আসাদুজ্জামান আসাদের মা মোছাঃ ফিরোজা বেগম এর করা মারামারি মামলায় মোঃ শাহীন শাহ কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় আদালত।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখ সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় নলডাঙ্গা উপজেলার রামশা কাজিপুর আমতলী বাজারে ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলিম জীবন, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের হামলার শিকার হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে তিনদিন পরে মৃত্যু বরণ করেন। ঘটনার পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ সহ আসামীরা পলাতক ছিলেন এবং তার ছোট ভাই মোঃ আলিম আল রাজি কে রাজশাহীর পুঠিয়া থানাধীন পচামাড়িয়া এলাকা থেকে নাটোরের ডিবি পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টে ০৪/১০/২০২২ ইং তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল শাহ আত্মসমর্পণ করলে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন মাননীয় আদালত। ২০/১০/২০২২ ইং তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এলাকায় এসে নিয়মিত অফিস করে। জামিল আলিম জীবনের মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে ২৩/১০/২০২২ ইং তারিখ রবিবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে, আজ সোমবার নাটোরের মাননীয় আদালতে দুটি পক্ষ আত্মসমর্পণ করে। এস এম ফখরুদ্দি ফুটুর করা মামলায় ১৪ জন আসামীর মধ্যে ১৩ জন মাননীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ১১ জনকে মাননীয় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল শাহ কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরদিকে আসাদুজ্জামান আসাদের মা মোছাঃ ফিরোজা বেগম এর করা মামলায় ৫৯ জন আসামীর মধ্যে ৫৮ জন মাননীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ৫৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন মাননীয় আদালত এবং ১ জন মোঃ শাহীন শাহ কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।