সত্যবার্তা ডেস্ক :
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক জামিউল আলিম জীবন হত্যা মামলার আসামী উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার সহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও নলডাঙ্গা উপজেলাবাসী। শনিবার বেলা ১২টায় নাটোর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এই মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তৃতা করেন নিহত জীবনের স্ত্রী রুপা খাতুন,পিতা ফরহাদ হোসেন ও মা জাহানারা বেগম। তারা সকলেই চেয়ারম্যান আসাদ সহ জড়িত সকলের ফাঁসির দাবি জানান। এছাড়া মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন নিহতের চাচা নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক দীলিপ কুমার দাস, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাকিব বাকী, নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটন, আওয়ামীলীগ নেতা ,মাসুদুর রহমান,জেলা যুবলীগ সভাপতি বাশিরুররহমান খান চৌধুরী এহিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তারুল ইসলাম আলম,যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু,রইস উদ্দিন রুবেল সহ ইমারত নির্মান শ্রমিক ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযুক্ত নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতারসহ তাদের ফাঁসির দবি জানান।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলিম জীবনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ২ ভাই সহ আরো কয়েকজন। পাঁচ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার দুই ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক শাহ ও আলিম আল রাজি শাহ সহ অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গাথানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ আলিম আল রাজি শাহকে গ্রেফতার করে। এদিকে এই হত্যা কান্ডের ঘটনার পর চেয়ারম্যান আসাদকে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য সহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া এই হত্যাকান্ডের পর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম পলক, কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল,স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,রতœা আহমেদ এমপি,জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান,নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি,সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার,সামছুল ইসলাম,সৈয়দ মোত্তুজা আলী বাবলু, দীলিপ কুমার দাস,আকরামুল ইসলাম,মোস্তারুল ইসলাম আলম সহ কেন্দ্রিয় ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ নিহতের বাড়িতে গিয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো সহ হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন।