সত্যবার্তা ডেস্কঃ
নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে নার্স বেশে চুরি করে নিয়ে যাওয়া কন্যা শিশুকে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িত নার্স বেশী সেই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এই বিচক্ষণতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নাটোরের সর্বস্তরের মানুষ।
উল্লখ্য ,গত শুক্রবার (৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে শিশুটি চুরি হয়েছে। নার্সের পরিচয় দিয়ে মুখোশধারী (মাস্ক পরিহিত)এক নারী দাদির কোলে থাকা শিশুটিকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের সময় সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে শিশুটি ভুমিষ্ট হয়। জন্ম নেয়া শিশুটি দুর্বল হওয়ায় তাকে গাইনি ওয়ার্ড থেকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
শিশুর পিতা নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমান পলাশ এবং মা হাসনা হেনা।
মামলা রুজুর সাথে সাথে জনাব মোঃ সাইফুর রহমান পিপিএম মহোদয় এর সার্বিক দিক নির্দেশনা এবং সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে নাটোর সদর থানার চৌকস অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করেন মামলা তদন্তকারী অফিসার নাটোর থানার এএসআই মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং এস আই জামাল উদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম, সিসিটিভি ফুটেজ এর বিশ্লেষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা ১০/০৬-২০২৩ তারিখে সকাল সকাল ৫.০০ঘটিকায় নাটোর থানাধীন চখ বৈদ্যনাথ এলাকা হতে নবজাতক চুরি করা ছদ্দবেশী উক্ত নার্স কাজলী খাতুন( ৩০) স্বামী মোঃ আরিফুল ইসলাম, পিতা মোঃ আব্দুল কাদের, বর্তমান ঠিকানা চোখ বৈদ্যনাথ থানা ও জেলা নাটোর কে আটক করা হয়। আটককৃত কাজলী খাতুন কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ৮ হাজার টাকার বিনিময়েশিমু সন্তানকে অন্য জনের কাছে বিক্রি করে দেই ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে নাটোর সদর থানা পুলিশ কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর থানাধীন খাজানগর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ কাজলী খাতুন (৪২) স্বামী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর হেফাজত হতে পদ্য ১০/৬/২৩ সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিট ঘটিকায় চুরি হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে নাটোর থানা পুলিশ । পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে চুরি হওয়া ২০ঘণ্টার মধ্যে নবজাতক ফিরে পেলো তার মায়ের কোল ।
বর্তমানে ২ কাজলী, শিশু চুরি করা র অভিযোগে আটক এবং ক্রয় করা কাজলী (৪২)দুই নারী নাটার সদর থানায় আটক আছে।