নাপা সিরাপ’ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের একটি ব্যাচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর মানে কোনো সমস্যা পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সোমবার (১৪ মার্চ) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘নাপা সিরাপে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তিনটি ব্যাচের দুটি করে ছয়টিসহ অভিযুক্ত দোকান থেকে সংগৃহীত আরও দুটি সিরাপের মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওষুধের গুণগতমান সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, দোকান থেকে আটটি বোতল সংগ্রহ করা হয়। সবগুলোতেই ফল পজিটিভ এসেছে। এসব সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গেল ১০ মার্চ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের দুই শিশু মারা যায়। তাদের মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, নাপা খাওয়ার পর তারা মারা গেছে।
ওই ঘটনা তদন্তে আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়।
কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের ব্যাচ নং-৩২১১৩১২১- ৬৮ হাজার মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এই সিরাপ মান সঠিক ছিল।