আজ- রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

পরকীয়া সন্দেহে এক যুবক কে হাতুড়ি পিটা ও চাঁদা দাবি!

 

সত্যবার্তা ডেস্ক ;

 

নাটোর দিঘাপতিয়ায় পরকীয়া সন্দেহে মির্জা নামের এক যুবক কে হাতুড়ি পিটা ও চাঁদা দাবি

নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের তেগাছী গ্রামের মির্জা নামের এক যুবক কে হাতুড়ি পিটা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। গত ১১-০৩-২০২২ ইং তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় তেগাছী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মির্জার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ও পুলিশ আসছে এই কথা শুনে সন্ত্রাসী ১/ মোঃ রাজ্জাক (৪০) পিতা- মোঃ নজরুল ২/ মোঃ ফজলু (৩০) পিতা- রজব ৩/ মোঃ খালেদ (৪০) পিতা- মৃত নুর ৪/ মোঃ আয়নাল (৪০) পিতা- মৃত হারান ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। এবং পুলিশের সহযোগিতায় এলাকাবাসী মির্জা কে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

শনিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে গেলে মির্জা বলেন। আমি শুক্রবার সন্ধ্যায় দোকানে চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ রাজ্জাক এসে আমাকে বলে যে চল রসিদের বাড়িতে মুড়ি খেয়ে আসি এই কথা বলে আমাকে ঢেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে ঢুকার পর রাজ্জাক আমাকে থাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে বলে তুই ৫০ হাজার টাকা দিবি না হলে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাতুড়ি দিয়ে আমাকে রাজ্জাক সহ তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি মার শুরু করে। এবং ওই বাড়ির মহিলা মাহাফুজা কে বলে যে তুই বলবি মির্জা আমার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে এসেছে ৩০ হাজার টাকা তুই নিবি আর আমরা ২০ হাজার টাকা নিবো। মাহাফুজা বলে আমি এই কাজ করতে পারবোনা তখন রাজ্জাক মাহাফুজা কেও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে আমাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ও পুলিশ আসছে শুনে রাজ্জাক সহ তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আইনের আশ্রয় নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা বলেন, আমি এখনো কোন আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি আমি অসুস্থ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে আইনের আশ্রয় নেবো।

ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহাফুজার সাথে কথা বলে জানা যায়। তিনি বলেন আমি শুক্রবার এশার নামাজ পড়ছিলাম হঠাৎ বিকট শব্দের আওয়াজ পাই তখন দরজার কাছে যেতেই দেখি রাজ্জাক ও মির্জা কথা কাটাকাটি করছে আমি রাজ্জাক ও মির্জা কে বলি তোরা এখানে আমার ঘরে কি করিস। মির্জা বলে আমাকে রাজ্জাক মুড়ি খাওয়ার কথা বলে নিয়ে এসেছে। এই কথা শুনে আমি দুইজনকেই আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলি তখন রাজ্জাক আমাকেও মারপিট শুরু করে। এবং আমাকে বলে যে তোর স্বামী কে ছেড়ে দে আমি তোকে বিয়ে করবো। না হলে তোকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এলাকা ছাড়া করবো। ঘটনার সময় আপনার স্বামী বাড়িতে ছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাফুজা বলেন আমার স্বামী তখন বাড়িতে ছিলো না বিলে জমি সেচ দিতে গিয়ে ছিলো।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন। আমরা আজকে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর

সাক্ষাৎকার