
সত্য বার্তা ডেস্ক:
সারা দেশব্যাপী চলছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোডশেডিং। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক গ্রাহকের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দুই জন কর্মচারীর ঘুষ নেয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এমন একটি সময়ে ঘুষ নেওয়ার ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, যখন সারাদেশে লোডশেডিং এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যাপকভাবে চাপে রয়েছে। এই সময় ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, পুঠিয়া জোনাল অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, পুঠিয়া জোনাল অফিসের দুজন কর্মচারী, সোহাগ হোসেন ও তার আরেকজন সঙ্গী গ্রাহকের মিটারের সমস্যা রয়েছে বলে টাকা দাবি করে। পরে ওই গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই দুই কর্মচারীর হাতে টাকা তুলে দিতে বাধ্য হন। পরে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই দুই কর্মচারী সেখান থেকে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়ার, কারিকর পাড়া গ্রামের, ব্যবসায়ী আজাহার আলীর মিটারের সমস্যা রয়েছে বলে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওই পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা দেন ওই ব্যবসায়ী এবং ১২০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে বিদ্যুৎ অফিসের ওই দুই কর্মচারী। ভাইরাল ভিডিওতে এমনটাই দেখা যায়।
ভুক্তভোগী আজহার আলী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোক আমার কাছ থেকে অন্যায় ভাবে টাকা দাবি করে, লাইন কেটে দিবে ও জরিমানা করার ভয় দেখায়, এরপর আমি তাদের ১২০০ টাকা দেই। ওই ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে পল্লী বিদ্যুতের ওই কর্মচারীরা অন্য একজন ব্যক্তির মাধ্যমে ১১০০ টাকা আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়। এরপর বেশ কয়েকবার পল্লী বিদ্যুতের অনেক লোকজন আমার কাছে আসে ও কথা বলে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, পুঠিয়া জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ইয়াকুব আলী শেখ বলেন, কোন গ্রাহকের মিটারের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অনুমতি নেই। টাকা যথাযথ অফিসের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। যদি এই ধরনের কোন অপকর্ম কেউ করে থাকে তাহলে তার দায় একান্তই ওর। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।