সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি:
আলিফ বিন রেজা:
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার মাদারীপুর এলাকায় শ্যামল কুমার শীল এর ছেলে সৌরভ কুমার এ বছর সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের (ভোকে:) শাখা থেকে গোল্ডেন এ+ প্লাস পেয়েছে। করোনা কালীন সময়ে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাবা কর্ম করতে না পারায় চা বিক্রয়ের পেশা বেছে নেয় সৌরভ।
মাদারীপুর মহল্লায় সরকারী খাস জায়গা এবং দাউদারের ১ শতক জমিতে কোনো রকম চাল তুলে বসবাস করে এই পরিবার। নিতান্তই দরিদ্র পরিবারে অভাব অনটনের মধ্যও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে সৌরভ। সৌরভ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, মা স্বপ্না রানী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা শ্যামল এক সময় সেলুনে কাজ করতেন।
কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারনে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। করোনার পর থেকে সংসারের হাল ধরেন সৌরভ। সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যা চা নিয়ে ছুটতে থাকে। সৌরভের বাবা ও মাঝে মাঝে চা নিয়ে ছুটতে দেখা যায়।
কোভিড (১৯) করোনা কালীন সময়ে কারো কাছে হাত না পেতে নিজের হাতে চা বানিয়ে সিংড়া পৌরসভা বাজারে প্রতিটি মোড়ে দোকানে গিয়ে চা নিজ হাতে বানিয়ে দোকান দারদের হাতে তুলে দেয় লাল চা, কালিজিরা চা, আঁদা চা ও লবঙ্গ চা।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা কালীন সময় থেকে দেখছি যে এই অসহায় ছেলেটি প্রতিটি দোকানে গিয়ে চা বিক্রয় করতে।এখনো সে চা বিক্রি করে। এই ছেলেটি আজ এসএসসি পরিক্ষাতে গোল্ডেন এ+ প্লাস পেয়েছে। তাতে আমরা অনেক আনন্দিত সামনের দিনগুলো যেন আরো ভালো কিছু করতে পারে এটাই দোয়া করি।
সৌরভ বলেন, আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর করোনা কালীন সময় চা বিক্রি শুরু করি। এখনো করছি। সারাদিন চা বিক্রি করে সন্ধ্যা পর বই হাতে নিতাম। সংসারের খরচ চালাতে হয় পাশাপাশি পড়ালেখা অব্যহত রাখতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। এবং অর্থের অভাবে যেনো তার লেখা পড়া বন্ধ না হয় সৌরভ এটাই সবার কাছে প্রত্যাশা করেন।