![](https://shottobarta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোরের লালপুর থেকে সৌদি আরব প্রবাসীর ইমো হ্যাকিং করে ১,২০,৮৬০/- টাকা বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের সক্রিয় ০৭ জন সদস্য কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল রাত আনুমানিক ১ টার সময় ভুক্তভোগী মোঃ মনিরুল ইসলাম (৩৮) পিতা- মোঃ দবির মন্ডল, সাং- কচুয়াদহ কামিহাট, থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়ার, অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে। নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন বিলমাড়িয়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ইমো হ্যাকিং চক্রের সক্রিয় ০৭ জন সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ১| মোঃ বেলাল মন্ডল (২৯) পিতা- মৃত শামসেদ মন্ডল, সাং- খানপুর, থানা- বাঘা, জেলা- রাজশাহী, ২| মোঃ মেহেদী হাসান (২৪) পিতা- শাহাবুল ইসলাম, সাং- মহোরকয়া, ৩| মোঃ মহন সরকার (১৯) পিতা- মোঃ মঞ্জুর রহমান, সাং- মহোরকয়া (খাঁ পাড়া) ৪| মোঃ শিমুল আলী (১৯) পিতা- মাজদার প্রামানিক, সাং- মনিহারপুর, ৫| মোঃ শাহ পরান সরকার (১৯) মোঃ নূর আলম সরকার, সাং- ভাঙ্গাপাড়া, ৬| মোঃ রবি (২২) পিতা- মোঃ ইয়াসিন আলী, সাং- মহোরকয়া, ৭| মোঃ রুবেল মন্ডল (৩২) পিতা- মোঃ রিফাজ মন্ডল, সাং- নাগসোসা, সবার থানা- লালপুর, জেলা- নাটোর।
উল্লেখ্য যে, ভুক্তভোগী মোঃ মনিরুল ইসলাম এর চাচাতো ভাই মোঃ ওয়াসিম একজন সৌদি প্রবাসী। গত ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১ টা ২০ মিনিটে ভিকটিম এর চাচাতো ভাইয়ের ইমো আইডি থেকে শ্রমিকের বিল দেওয়ার জন্য মেসেজ আসে এবং একটি বিকাশ নম্বর দেয়। ভিকটিম মনিরুল ইসলাম সরল বিশ্বাসে প্রথমে ২১,৫০০/- টাকা দেয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তার চাচাতো ভাইয়ের ইমো আইডি হতে বেশ কিছু বিকাশ নম্বর আসে এবং টাকা দিতে বলে। এর আগেও ভিকটিম তার ভাইয়ের কথায় বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেছে, তাই কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই উক্ত বিকাশ নম্বর গুলোতে সর্বমোট ১,২০,৮৬০/- টাকা পাঠায়। টাকা প্রতারক চক্রকে পাঠানোর কিছু সময় পর মোঃ মনিরুল ইসলাম এর ভাই প্রবাসী মোঃ ওয়াসিম ফোন করে জানায় যে তার ইমো আইডি টি হ্যাকিং করা হয়েছে। তখন ভিকটিম মোঃ মনিরুল ইসলাম বলে যে তুমি শ্রমিকের বিল দেওয়ার জন্য যেই বিকাশ নম্বর গুলো দিয়েছিলে আমি তো সেগুলো নম্বরে কয়েক ধাপে ১,২০,৮৬০/- টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। তখন ভিকটিম বুঝতে পারে যে ইমো হ্যাকিং চক্রের খপ্পরে তিনি পড়েছেন।
র্যাব জানায় যে, নাটোরের বনপাড়া বাইপাস এলাকায় র্যাবের একটি টহল টিম যাচ্ছিল তখন ভিকটিম এসে তিনি ইমো হ্যাকিং চক্রের খপ্পরে পড়ার ঘটনা র্যাবের কাছে বিস্তারিত খুলে বলেন। র্যাব অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ইমো হ্যাকিং চক্রের সক্রিয় ০৭ জন সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। এবং আসামীদের তলাশীর সময় ০২ টি ফেন্সিডিল এর বোতল উদ্ধার করে এর প্রেক্ষিতে র্যাব বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন।