সত্য বার্তা ডেস্ক:
রবিবার (৯ জুলাই) আনুমানিক ১২ টার সময় বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করে। নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন গোপালপুর দাইড়পাড়া এলাকা হতে নাটোর সদর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর একমাত্র এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামি মোঃ মিজানুর রহমান (৩১), পিতা- মৃত আফছার সরদার, সাং- চন্দ্রখৈর দক্ষিণ পাড়া, থানা- বাগাতিপাড়া, জেলা- নাটোর কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের সঙ্গে ঘটনার ৮ মাস পূর্বে ফেসবুক এর মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর ম্যাসেঞ্জার কথোপকথন চলতে থাকে, একপর্যায়ে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোঃ মিজানুর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে পুলিশের ছবি বিভিন্ন সময় আপলোড দিতো এবং ভিকটিম কে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দিতো। ভিকটিমের সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে গোপন কিছু ছবি সংগ্রহ করে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান। এরপর ভিকটিম কে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কু-প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য রাজি না হলে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান গোপন ছবি গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ১,২০,০০০/- এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান গোপন ছবিগুলো ডিলিট করার কথা বলে ভিকটিমের বাড়িতে আসে। ভিকটিমের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ১২/০৫/২০২৩ ইং তারিখ সকাল বেলা আনুমানিক ১১ টার সময় ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং আসামি মোঃ মিজানুর রহমান যাওয়ার সময় ভিকটিম এর বাড়িতে থাকা ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। ১৪/০৫/২০২৩ ইং তারিখ পূনরায় আসামি মোঃ মিজানুর রহমান ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা দাবি করলে ভিকটিম এর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে মোঃ মিজানুর রহমান কে ১৩,০০০/- (তের হাজার) টাকা দেয়।
পরবর্তীতে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময় আরো টাকা দাবি করলে। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব এর অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান কে নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন গোপালপুর দাইড়পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।