
সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোরের বড়াইগ্রামের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী হত্যার ০৩ বছর পর প্রধান আসামী মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫)। পিতা- মৃত সোহরাব মোল্লা, সাং – নওদা জোয়াড়ী, থানা – বড়াইগ্রাম, জেলা – নাটোর কে গতকাল মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুরুদাসপুর থানাধীন খামার পাথুরিয়া এলাকায় র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ বেলাল হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ বেলাল হোসেন এর সঙ্গে ভিকটিম এর বিয়ের পর ঘর সংসার করা কালে তাদের দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ভিকটিম জীবিত থাকাকালীন সময়ে উদ্দীপন এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ও গ্রামীন ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা লোন নিয়ে স্বামী মোঃ বেলাল হোসেন কে মাছের ব্যবসা করার জন্য দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারে তার স্বামী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়েছেন। এবং এই পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি নিয়ে স্বামী মোঃ বেলাল হোসেন এর সঙ্গে ভিকটিম এর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় ও আসামী বেলাল হোসেন তার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেন। গত ৩১/০৩/২০১৯ ইং তারিখ ভোর আনুমানিক ৫ টার সময় মামলার পরস্পর আসামীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম কে বালিস চাপা দিয়ে হত্যা করে।
হত্যাকান্ডের পর আসামী মোঃ বেলাল হোসেন নিজেই ফোন দিয়ে ভিকটিম এর বোন কে জানায়, পরে খবর পেয়ে ভিকটিম এর বোন ঘটনা স্থলে এসে দেখতে পায় তার বোনের মৃত দেহ জিব্বা বের করা। বোনের মৃত দেহ চাইলে আসামী মৃত দেহ না দিয়ে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম এর স্বজনরা মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাইলে আসামী মোঃ বেলাল হোসেন সঠিক কোন উত্তর দিতে না পাড়ায় তাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে ভিকটিম এর ভাই নিজে বাদী হয়ে নাটোরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর আসামী মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫) তিন বছর পলাতক ছিলেন। এবং আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ বেলাল হোসেন হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই নাটোর এর নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে জানান।