সত্য বার্তা ডেস্ক :
অনৈতিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে পরিকল্পিতভাবে বাগাতিপাড়ার বাদাম বিক্রেতা হত্যার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সহ পাঁচ আসামী কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল, নওগাঁ জেলার আত্রাই থানা ও নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ১| মোঃ মাইনুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মৃত বয়েজ উদ্দিন সরকার, সাং- বাড়ইপাড়া (বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজের সামনে), ২| মোঃ শরিফুল (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল আজিজ, সাং- কৃষ্ণপুর, ৩| মোঃ মিলন মোল্লা @ মিলন আহমেদ (২৫), পিতা- মোঃ আলম মোল্লা, সাং- বাড়ইপাড়া, ৪| মোঃ শাহবুল শেখ (৩০), পিতা- মোঃ বাবুল শেখ, সাং- বেহারকোল, ৫| আলামিন ইসলাম (২০), পিতা- আমিরুল ইসলাম, সাং- বাড়ইপাড়া, সকলের থানা- বাগাতিপাড়া, জেলা- নাটোর।
উল্লেখ্য যে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভিকটিম তপন চন্দ্র চৌধুরী (৩৫) একজন বাদাম বিক্রেতা ছিলেন, তিনি বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি বাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রয় করত। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২১/০৯/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩ টার সময় বাড়ী থেকে বের হয়ে মালঞ্চি বাজারে আসে। এবং বাদাম বিক্রয় শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় মোঃ সাহান এর দর্জির দোকানে বাদাম বিক্রির ডালি রেখে বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে চলে যায়। একই তারিখ রাত্রী আনুমানিক ১০ টার সময় ভিকটিম বাড়ীতে না ফেরায় তাঁর বড় ভাই শ্রী নিতিশ চন্দ্র চৌধুরী মালঞ্চি বাজারে তার ভাইকে খোঁজাখুঁজি করে। এবং তাঁর ভাইকে না পেয়ে রাত আনুমানিক ২ টার সময় বাড়ীতে ফিরে চলে যায়। পরদিন ২২/০৯/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর আড়াই টার সময় লোকোমুখে জানতে পারে যে, বাগাতিপাড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত মহিলা কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে নীল চড়া মাঠের জনৈক মোঃ সবুর মন্ডল এর আখ ক্ষেতের আইলের উপর একটি লাশ পরে আছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই নিতিশ চন্দ্র চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সনাক্ত করে যে মৃতদেহটি তাঁর ভাই তপন চন্দ্র চৌধুরীর। পরে ভিকটিম এর ভাই বাগাতিপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন। তারপর থেকে আসামীরা গা ঢাঁকা দেয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় যে, ভিকটিমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক কার্যের প্রলোভন দেয় এবং কৌশলে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মোঃ মাইনুল ইসলাম ভিকটিমকে জনৈক ইয়াসিনের ফার্মের কাছে ডেকে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই অন্যান্য আসামীরা উৎ পেতে থাকে এবং ভিকটিম সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসামীরা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহটি জনৈক মোঃ সবুর মন্ডল এর আখ ক্ষেতের আইলের উপর ফেলে রেখে চলে যায়।