সত্যবার্তা ডেস্ক :
৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের প্রতি নিঃশর্তভাবে যে চারটি দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান, সে ব্যাপারে নীরবতা পালন করে নির্বাচনে পরাজিত নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। ভুট্টো-ইয়াহিয়ার ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশজুড়ে যে গণহত্যা চালানো হয়, সেই ব্যাপারে প্রতারণামূলক বক্তব্য দিয়ে দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে ভুট্টো। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ৩২ হাজার টনের গমের জাহাজ চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল, সেই জাহাজের রুট বদলে করাচির দিকে নিয়ে যায় তারা।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে জনগণকে আসন্ন যুদ্ধের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। তাজউদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে জানান, জনগণের আন্দোলন নজিরবিহীন তীব্রতা লাভ করিয়াছে। বঙ্গবন্ধু যেসব নির্দেশ দিয়াছেন, জনগণ তা কার্যকর করিয়া তুলিতেছে জন্যই এরূপ সম্ভব হইয়াছে। এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য সর্বোচ্চ হারে উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং দেশের অর্থনীতেকে পরিপূর্ণভাবে চালূ রাখার আহ্বান জানান তিনি। এজন্য ব্যাংকিংসহ কিছু প্রয়োজনীয় খাতের ওপর থেকে হরতাল শিথিল করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।
এদিকে ১১ মার্চ বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পাকিস্তানের এয়ার মার্শাল আজগর খা জানান, কুর্মিটোলা মার্শাল-ল অফিস ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা নেই। সরকারি-বেসরকারি সব কর্মক্ষেত্রের কর্মচারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ পালন করিয়া চলিতেসে।
১১ মার্চ টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী হাইস্কুলের এক জনসভায় মাওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে সাত কোটি বাঙালির একক নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সাত কোটি বাঙালির নেতা শেখ মুজিবের নির্দেশ পালন করুন।
(১৯৭১ সালে ১৩ মার্চের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো থেকে এসব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে)