সত্যবার্তা ডেস্ক:
বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় ভুক্তভোগী মোঃ মন্টু প্রামানিক (৪২), পিতা- মৃত আলহাজ্ব সুরমান প্রামানিক, সাং- আটাই, থানা- বড়াইগ্রাম, জেলা নাটোরের অভিযোগের ভিত্তিতে।র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন বনপাড়া বাইপাস মোড়ে ওয়ান-সেভেন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৮), পিতা- মোঃ তায়জাল প্রামানিক, সাং- দিগ্যার, থানা- বড়াইগ্রাম, জেলা নাটোর কে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী মোঃ মন্টু প্রামানিক এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে দুবাই অবস্থানরত মোঃ লিটন হোসেন (২৫) ও জামাই মোঃ মনছুর আহমেদ (৩৫) গণ পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী মোঃ মন্টু প্রামানিক কে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ৩,৪০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভুক্তভোগী কে জাল কাগজপত্র দিয়ে দুবাই পাঠায়। ভুক্তভোগী দুবাই গেলে দুবাইয়ে থাকা অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী কে আটকিয়ে রাখে এবং কোন কাজের ব্যবস্থা না করে পাকিস্তানের দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে পাকিস্তানের দালালেরা ভুক্তভোগী কে জোরপূর্বক বিনা বেতনে ৯ দিন কাজ করায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানতে পারে, গলাকাটা ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র জাল। পরে বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী দেশে ফিরে আসে।
র্যাব এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলে যে, সে বিদেশগামী যুবকদের উচ্চ বেতনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও জাল কাগজপত্র দিয়ে পাঠাই এবং বিদেশে থাকা তাদের সহযোগীরা অবৈধভাবে জোরপূর্বক আটক রেখে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য করাতো।