সত্যবার্তা ডেস্ক,
“বিয়ে ছাড়া কলেজ ছাত্রীর সাথে দুইমাস সংসার করা সেই ইউএনও এবার প্রত্যাহার”
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করার তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
এর আগে টাঙ্গাইলের বাসাইলের ইউএনও থাকাকালে তিনি এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে থেকে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এ তথ্য জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক মহলকে।
এদিকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন জানান। পরে এ ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, মনজুর ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ইউএনও তাকে তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে পারিবারিকভাবে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলেও ইউএনও বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তা থামিয়ে দেন। এ সময় ইউএনও টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজের পাশে নিজের তথ্য লুকিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে নিয়ে দুই মাস সংসার করেন।
একপর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী বিয়ে ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতির জন্য ইউএনওকে চাপ দিলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। এদিকে জানা গেছে,ওই ছাত্রীকে আইনী সহায়তা দিচ্ছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি ওই ছাত্রীর পক্ষে গত ২২ মার্চ মনজুরের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান।