নিজেস্ব প্রতিবেদক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে হঠাৎ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার পরিস্থিতি অস্থির করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ভোরের কাগজকে তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নেমেছেন তারা। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। যদি কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বেশি মুনাফার লোভে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে
তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূল জায়গাগুলোতে আঘাত হানাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, সব রিফাইনারি কোম্পানির কাছে ভোজ্যতেল বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা গত তিন মাসে কী পরিমাণ আমদানি করেছে, কত পরিমাণ পরিশোধন করেছে, তা শুল্ক ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তারা কত পরিমাণের ডিও এবং এসও দিয়েছে, কত সরবরাহ করেছে এবং কত মজুত আছে, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত তাদের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারা করছে, তা ধরা পড়বে। তথ্য পাওয়ার পর প্রতিটি শোধনাগারে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালাবে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছ। আমরাও এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। কারা এ কাজগুলো করছে, আগে তাদের শনাক্ত করে আমরা সেসব জায়গাগুলোতে অভিযান শুরু করেছি। অভিযান পরিচালনা শেষে আইনগতভাবে যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা আমরা নেব।
তিনি জানান, শনিবার রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজের আড়ত ও যাত্রাবাড়ীর ভোজ্যতেলের পাইকারি প্র?তিষ্ঠানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় যাত্রাবাড়ীর আবুল খায়ের ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ৩০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। সরকা?রের খোলা সয়াবিন তেলের বর্তমা?নে নির্ধারিত মূল্য দেয়া আছে ১৪৩ টাকা, তারা বিক্রি করছে ১৭৩ টাকা। বেশি দামে তেল বিক্রির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ অপরাধে আবুল খায়ের ট্রেডার্সকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা প্রায় ৬০ ড্রাম তেল জব্দ ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ?কে আজ রবিবার অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদি কাগজপত্র না দেখাতে পারে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া শ্যামবাজার এলাকায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে আরো দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।