নাটোর সদর উপজেলা প্রতিনিধি:
মোছাঃ তৃষ্ণা খাতুন:
তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা অটো চালক জহির মীর (৩২) অসুস্থ থাকায় তার ছেলে মোঃ নিশান মীর (১৬) ও তার খালাতো ভাই মোঃ মারুফ (১৫) অটো নিয়ে মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫ টার সময় ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।
রাত ৯ টার দিকে নাটোর ষ্টেশন ফ্রেন্ডস পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে অজ্ঞাত ৩ জন অটোগাড়ী তে উঠে তেবাড়িয়া যাবার কথা বলে। অটো চালক সরল বিশ্বাসে তাদের নিয়ে যায় কিন্তু যখন তেবাড়িয়া পৌঁছায় তখন তারা আর একটু সামনে নামিয়ে দিতে অটো চালক’কে অনুরোধ করে তাদের জংলি নিয়ে যায়, এবং সেখান থেকে তাদের সহযোগী ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য আরো ৩ জন অটোগাড়ী’তে উঠে এবং বলে আর একটু সমনে গেলেই তারা নেমে যাবে।
কিন্তু তারা না নেমে রামেশ্বরপুর নামক ফাঁকা নির্জন যায়গায় গিয়ে ভিকটম নিশান এবং নিশানের খালাতো ভাই মারুফ এর গেঞ্জি পেছন থেকে টেনে ধরে। নিশান ও মারুফ কিছু বোঝে উঠার আগেই তাদের মুখ চেপে ধরে। এবং তাদের পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাদের মুখ বেঁধে ফেলে। এবং গাড়ীতে থাকা দড়ি দিয়ে তাদের হাত পা বেঁধে ফেলে।
ভিকটিমদের মেরে ফেলার জন্য গলা টিপে ধরে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি ও মাটির মধ্যে মুখ খুসে ধরে রাখে, মারা গেছে এই ভেবে খেজুর গাছের সাথে বেঁধে রেখে ছিনতাইকারীরা অটোগাড়ী সহ যা ছিল টাকা মোবাইল সব লুট করে নিয়ে যায়।
ওই এলাকার একজন বয়স্ক মানুষ মাছ এর জাল তোলার জন্য যাবার সময় একটা শব্দ পেয়ে টর্সলাইট দিয়ে আলো দিলে দেখে খেজুর গাছের সাথে বাধা অবস্থায় নিশান এবং তার খালাতো ভাই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে। তখন সেই বয়স্ক মানুষ চিৎকার করলে এলাকাবাসী জড়ো হয় এবং তাদের সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
নিশানের জ্ঞান ফিরলে তার থেকে তার পরিবারের ফোন নাম্বার নিয়ে তার বাবার কাছে ফোন দিলে তারা সেখানে গিয়ে তাদের সন্তান কে নিয়ে আসেন। এবং পরের দিন বুধবার সকালে তারা নাটোর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।