আজ- শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

 মৎস্য আড়ৎদারদের উপর হামলার অভিযোগ  পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে!

সত্যবার্তা ডেস্ক:

নাটোরের নলডাঙ্গায় মৎস্য আড়ৎদারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির এর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার(১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭ টায় নলডাঙ্গা ভূমি অফিসের পিছনে খুচরা মাছ বাজারে মাছ বিক্রতা ও আড়ৎদারের সঙ্গে বসা নিয়ে আড়ৎদারের উপর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনীরা হামলার ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয় ও নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়,
মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও তার ক্যাডার বাহিনী সহ খুচরা মাছ বাজারে এসেছে মাছ বিক্রতাদের জোরপূর্বক উঠে দেয়, এমন সংবাদ পেয়ে নলডাঙ্গা মাছ বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ সকল আড়ৎদার সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। তখন মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দ্রুত মাছ সহ যায় যা জিনিস আছে তা নিয়ে চলে যেতে, আর এখানে বসলে প্রতিটি আড়ৎদাকে এককালীন ১০ হাজার করে টাকা সিকিউরিটি বাবদ ও মাসে ১৮০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। তার প্রস্তাবে আড়ৎদারগণ রাজি না হলে মেয়র এর ক্যাডার বাহিনী মাছ সহ মাছ বিক্রতাদের আবারো উঠে দিতে লাগে, মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজ শুরু করে তখন মাছ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নিষেধ ও বাধা দিলে তাকে মেয়র এর ক্যাডার আজিজুল ও আন্ডি মারধর করেন। এমনত অবস্থায় মাছ বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী নান্নু মন্ডল তাদের মারতে নিষেধ করলে ও উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে তাকে বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনির জোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় ও হুমকি-ধামকি এবং গালিগালাজ দিতে থাকেন। হটগোল সৃষ্টি হওয়ায় মাছ বাজারের কার্যকম বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আড়ৎদারগণ ঐখান থেকে চলে যায়। তারা নলডাঙ্গা থানায় গিয়ে ওসি স্যারকে বিষয়টা মৌখিকভাবে জানায় তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন ও পুনরায় মাছ বিক্রয় শুরু হয়।
এ বিষয় প্রতিবেদককে মাছ বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী নান্নু মন্ডল বলেন, আমরা প্রায় ৫০ বছর বা জন্মসূত্রে বলা যায় এই রেলওয়ে স্টেশনের নিচে রেলওয়ে মন্ত্রালয়ের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আমরা মৎস্য আড়ৎ করি, তার জন্য প্রতিবছর রেলওয়ে মন্ত্রালয়ে লিজ বাবদ টাকা দিয়ে আসি এবং পৌরসভাকে প্রতিবছর ট্রাক্স বাবদ ২৫০০ করে টাকা দিতে হয়। হটাৎ করে মেয়র মনির গতকয়েক দিন আগে আমাকে ও আমার বাজার কমিটির সম্পাদক মুক্তা কে বলেন যে মাছের আড়ৎ নলডাঙ্গা ভূমি অফিসের পিছনে খুচরা বাজারে নিয়ে গিয়ে করতে তিনি সেখানে ৮ টি ঘর করেছেন আর তাকে সিকিউরিটি বাবদ এককালীন ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য বলেন ও প্রতি মাসে প্রথমত ৩৫০০ টাকা চায় পরে ১৮০০ টাকা করে দিতে বলেন।
এছাড়াও মেয়র মনির বলেন,
পৌরসভা কি আপনাদের কথায় চলবে না আমার কথায় চলবে, যা বলছি তা করেন নয়তো এখানে ব্যবসা করতে পারবেনা। পরে আমরা সকল মৎস্য  আড়ৎদার এবিষয় নিয়ে বসলে কেউ আর রাজি হয় না এবং রাতে আমরা ওসি স্যার কে মৌখিকভাবে বিষয়টা জানাই। আজ মেয়র সকালে মাছ বাজারে এসেছে সবাই কে উঠে দেয় আমি নিষেধ করলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় ও আমার মুক্তা সহ বেশকয়েক জনকে মারধর করেন। আমরা কেউ ভাবতে পারি নাই যে এমনটা ঘটবে। এখন সকল মৎস্য আড়ৎদার সহ খুচরা মাছ বিক্রতাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এতে করে বাজারে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ও আমাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান।
নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির এর সঙ্গে মোবাইল ফোন বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই। তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম তিনি বলেন, এই বিষয় গতকাল মাছের আড়ৎদারগণ থানায় এসে আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানায় তখন আমি মেয়র মহোদয় কে বলি তাদের নিয়ে বসে একটা সমাধান করতে। আজ সকাল বেলা মাছ আড়ৎদার দারে সঙ্গে মেয়র এর উপস্থিতে মেয়রের লোকজনদের একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশের উপস্থিত পেয়ে মেয়র এর লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর