সত্য বার্তা ডেস্ক:
নাটোরের সিংড়ায় ১১নং ছাতারদিঘী ইউনিয়নের সরমুজা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, সরমুজা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে এনামুল হকের সাথে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে বিয়ে হয় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছাঃ নাজমা বেগমের সাথে। বিয়ের দুই মাস পরে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী কর্তৃক ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে তালাক প্রাপ্ত হয় নাজমা বেগম।
তালাকের কিছুদিন পরে রাত ১২ টার দিকে স্বামী এনামুলের বাড়িতে এসে এনামুল কে না পেয়ে পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও আত্মহত্যার ভয় দেখায় নাজমা বেগম।
নাজমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর বাড়িতে এসেছি আমাকে তারা ভেতরে ঢুকতে দেইনি। আমাকে না জানিয়ে আমার স্বামী তালাক দিয়েছে এনামুল ইসলাম। তাই আমি তার বাড়িতে এসেছি।
সরমুজা গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশে এনামুলের বাড়ি গভীর রাতে নাজমা বেগমের হৈচৈ শুনে বের হয়ে দেখি অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতেছে। আমি অনুরোধ করে তাকে থামাই। এতো রাতে সে কথায় যাবে এই কথা ভেবে আমি মেয়েটিকে আমার বাসায় থাকতে দেই।
এনামুল হক বলেন, আমরা দুজনই ঢাকা গাজীপুরে চাকুরী করতাম সেই সময়ে পরিচয় হয়। তার কিছুদিন পরে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি যখন জানতে পারি তার স্বামী সন্তান আছে এই কথা নিয়ে তার সাথে আমার ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এর পরে আমি তাকে মোহরানার টাকা সহ তার উপস্থিততে তালাক দিয়ে দেই। তার কিছু দিন পরে এই ঘটনা ঘটে। আমি ভয় পেয়ে সিংড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমি এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।