সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
আলিফ বিন রেজা:
নাটোরের সিংড়ায় স্বামীর অধিকার আদায়ে অনশন করেন নাজিরা খাতুন (২৫) নামে এক মহিলা। সে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামান্তা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে।
সোমবার (২অক্টোবর) আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলার হাতিয়ান্দ ইউনিয়নের হাসিঘাটী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তাকে ২০১৩ সালে সিংড়া উপজেলার হাসিঘাটী গ্রামের কৃষক সোলাইমানের ছেলের রমিজুল করিম সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ১০ বছর সংসার করেন। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে আমার স্বামী আমাকে ২৭-৯-২২ ইং তারিখে ডিভোর্স দিলে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে সে কয়েকদিন পরে আমাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতিনিয়ত মেন্টালী প্রেসার দিতে থাকেন। আমিও পুরনো কথা ভুলে পুনরায় ১০-১১-২২ ইং তারিখে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ্ করি।
তিনি আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ঢাকায় চাকুরী করে সুন্দর ভাবে সংসার জীবন পার করতে থাকা অবস্থায় আমার স্বামী কুরবানী ঈদে বাড়িতে এসে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে আমি অনেক চেষ্টা করে জানতে পারি সে গ্রামে এসে আবার একটি বিয়ে করেছে। আমি জানতে পেরে যোগাযোগ করলে আমাকে ডেকে আত্নীয়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নির্যাতন শুরু করলে আমি ৯৯৯ এ কল দিলে আমার ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে আমি অনেক চেষ্টা করে কোনরকম আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যাই। এখন আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মানিক রতন জানান, মেয়েটির কাছ থেকে আমি বিষয়টি জেনে প্রতিবেশির কাছে থেকে সত্যতা যাচাই করে সুষ্ঠু ফায়সালা করে দেবার জন্য তার স্বামীর সঙ্গে একাধিকবার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে তার বাবার সঙ্গে বৈঠক করে সুরাহা করা হবে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী। মামলার তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।