
সত্যবার্তা ডেস্ক:
নাটোরের লালপুর পানঘাটা এলাকা থেকে একটি বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজন প্রতারক’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার ২৪ অক্টোবর একজন ভুক্তভোগী অনুপ কুমার হালদার (২৮) পিতা- দিলীপ চন্দ্র হালদার, সাং- আটঘরি, থানা- বড়াইগ্রাম এবং মোঃ মনোয়ার হোসাইন (২২) পিতা- মোঃ আবের আলী, সাং- গোধড়া, থানা- লালপুর উভয়ের জেলা নাটোরের অভিযোগের ভিত্তিতে। সিপিসি-২ র্যাব-৫ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে নাটোরের লালপুর পানঘাটা এলাকায় বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিন টায় প্রতারক ১| মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৮) পিতা- মোঃ আকছেদ কাজী, সাং- পানঘাটা, থানা- লালপুর, ২| মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৬) পিতা- মোঃ জুলফিকার গাজী, সাং- মালিপাড়া, থানা- বড়াইগ্রাম উভয়ের জেলা নাটোর’কে ভূয়া নিয়োগপত্র সহ গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী দুইজনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামী মোঃ নুরুল ইসলাম ও মোঃ সাইফুল ইসলাম এর যোগসাজশে ও সুকৌশলে চাকরি প্রত্যাশী উপরোক্ত ভুক্তভোগীদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর “স্টোরম্যান ও অফিস সহকারি” চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ১৩,৫০,০০০/- (তের লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এবং উক্ত দুটি পদে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে যাতে সেনাবাহিনীর লোগযুক্ত বি আর ইউ/এ আর টি, ডি এ এজি (রিক্রুটিং) ঢাকা সেনানিবাস, ১৭/০৪/২০২২ লেখা ও চাকরির শর্তাবলিসহ আরো অনেক কিছু লেখা আছে। পরবর্তীতে চাকরি প্রার্থীগণ নিয়োগপত্রে উল্লেখিত যোগদানের তারিখে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করলে তারা বুঝতে পারে যে উক্ত নিয়োগপত্র টি সঠিক নয় ভূয়া।
নাটোর র্যাব-৫ এর প্রধান মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রথমে সহজ-সরল চাকরি প্রত্যাশী যুবকদের টার্গেট করে তাদের কাছে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে কম্পিউটারে এডিটিং করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সেনাবাহিনীর স্বাক্ষর ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় হচ্ছে এই প্রতারকদের পেশা।