সত্যবার্তা ডেস্ক :
টাকার লোভ দেখিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা (৬৫) নামে এক ব্যক্তি জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। মামলার চারদিন পর মঙ্গলবার সকালে চিরিরবন্দর উপজেলার হাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বয়েতপাড়ায়। সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নীলফামারী আদালতে পাঠিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে ওই কিশোরী।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বয়েতপাড়ার মৃত বিষাদু মামুদের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা (৬৫)। আর নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী একই এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম ও মোছা. শাহিনা বেগম দম্পতির মেয়ে।
ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী একই এলাকার জনৈক ডাব্লু নামের ব্যক্তির বাড়ির উঠানে গাছের সুপারি কুড়াতে যায়। আর এই সুযোগে বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা ওই মানসিক কিশোরীকে একা পেয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে কোনো রকম কথাবার্তা না বলে সারাক্ষণ চুপচাপ থাকত। পরে গত ৯ মার্চ ওই কিশোরীর গোপানাঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলে সে বিষয়টি তার মাকে জানায়।
এ অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই দিনের বিস্তারিত ঘটনা তার মাকে বলে। এর আগেও আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা মানসিক রোগী ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় এ প্রতিবন্ধী।
এ ঘটনায় ওই মানসিক কিশোরীর মা মোছা. শাহিনা বেগম বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১) ধারায় সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৮।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান মামলা দায়েরের ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামীকে এলাকাবাসী আটক করে খবর পেয়ে এসআই হাবিব তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংকলিত